কেমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে নিরাপদ থাকবেন?

০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অনলাইন নিরাপত্তার একটি মৌলিক উপাদান শক্তিশালী পাসওয়ার্ড। এটি সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে নিজেদের প্রাথমিক প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে যেখানে ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য প্রায়ই অনলাইনে অ্যাক্সেস ও সংরক্ষণ করা হয় সেখানে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সাইবার অপরাধীরা দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর জন্য ক্রমবর্ধমান পরিশীলিত পদ্ধতি ব্যবহার করে। আর তাই অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করতে নিজেদের পাসওয়ার্ডগুলো শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন জানুন তার উপায়- 

দৈর্ঘ্য ও সংখ্যা -

পাসওয়ার্ড তৈরির ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য ও জটিলতাকে অগ্রাধিকার দিন। চেষ্টা করুন দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময় পাসওয়ার্ড দিতে। কমপক্ষে ১৫টি লেটারের পাসওয়ার্ড দিন। অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন একত্রিত করে একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। যা সহজেই জটিল পাসওয়ার্ড পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে এবং নিরাপত্তা বাড়াতে পারে।

অনুমানযোগ্য পছন্দগুলো এড়িয়ে চলুন-

পছন্দের মানুষ, প্রিয় সংখ্যা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন না। এমন পাসওয়ার্ড সহজেই অনুমান করা যায় যা আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর পরিবর্তে, এলোমেলো সংমিশ্রণগুলো ব্যবহার করতে হবে যা নিজেদের জন্য অর্থপূর্ণ। এটি সাধারণ হ্যাকিং পদ্ধতিগুলোর প্রতিরোধী।

অর্থপূর্ণ অদ্ভুত কথার ব্যবহার-

ব্যক্তিগত বাক্যাংশকে জটিল পাসওয়ার্ডে রূপান্তর করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, “আমি আইসক্রিম খেতে ভেনিসে যেতে চাই।” এই পদ্ধতিটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক শক্তির সঙ্গে ব্যক্তিগত তাৎপর্যকে একত্রিত করে, যা পাসওয়ার্ডগুলোকে সুরক্ষিত করে তোলে।

বৈচিত্র্যময় পাসওয়ার্ড -

বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে। পাসওয়ার্ড পুনঃব্যবহার হ্যাকিং এর ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) বা মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA) ব্যবহার করে নিজেদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এই অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তরগুলোর জন্য পাসওয়ার্ডের বাইরেও যাচাইকরণ প্রয়োজন হয় যা অননুমোদিত অ্যাক্সেসের বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা যোগ করে। তাই শক্তিশালী সুরক্ষার জন্য সব অ্যাকাউন্টে 2FA বা MFA এনেবল করতে হবে।