বন্যায় কুমিল্লাতে মৎস্য খাতে ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় সাম্প্রতিক বন্যায় বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য খাত। মৎস্য উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই জেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গেছে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার মাছ। প্রাথমিক সমীক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ শ ৩৬ একর জমিতে তৈরি করা মাছের ঘেরসহ মাছ চাষের আড়াই হাজারেরও বেশি পুকুর ও দিঘী। তবে বন্যা যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়বে বলে জানিয়েছেন মৎস্য চাষিরা।

এবারের বন্যায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে কুমিল্লা। ভেঙে পড়েছে জেলার ৮ উপজেলার অর্থনীতির চালিকা ও অবকাঠামো। প্লাবিত হয়েছে কৃষিজমি, মাছের ঘের, ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪ উপজেলা প্লাবিত হলেও ৮ উপজেলার অবস্থা ভয়াবহ।

গোমতী নদী, ঘুংঘুর নদী ও সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে মুহূর্তেই তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার পুকুর, দিঘী ও ঘের। ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বন্যার পানিতে মৎস্য খাতে প্রাথমিক সমীক্ষায় ক্ষয়ক্ষতি ধরা হয়েছে ৪শ কোটি টাকা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাছ চাষিরা।

কুমিল্লা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টি, নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যার পানিতে কুমিল্লায় মাছের ঘের ও পুকুর-দীঘি থেকে ৪ শ কোটি টাকার মাছ ভেসে যায়। যার মধ্যে ১০ টন চিংড়ী মাছ, অন্তত ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের পোনা মাছ রয়েছে। এছাড়া সরকারি দু'টি মাছের পোনা উৎপাদন কেন্দ্রও ভেসে গেছে। বন্যা যত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

মৎস্য উৎপাদনে দেশের ২য় স্থানে থাকা এই জেলায় মৎস্য চাষীদের প্রণোদনা ও বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে আবারো ঘুরে দাড়ানোর সহযোগিতা করবে সরকার, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।