রবিউল আউয়ালে নবীজির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘটনা

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। আরবি মাসগুলোর মধ্যে এ মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আরবিতে রবিউল আউয়ালের অর্থ প্রথম বসন্ত। এই মাসটি বেশ কিছু কারণে গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। এর প্রথম কারণ হলো- এই মাসে পৃথিবীতে আগমন করেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম।

দ্বিতীয় কারণ হলো- এই মাসেই আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে বিয়ে করেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

তৃতীয় কারণ হলো- এই মাসেই মুসলমানদের জন্য সর্বপ্রথম মসজিদ তৈরি করা হয় কুবা নামক স্থানে এবং এটিই ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ।

চতুর্থ কারণ হলো- এই মাসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। এবং যে দিন তিনি মদিনায়ে পৌঁছান তা ছিলো সোমবার ১২-ই রবিউল আউয়াল। 

পঞ্চম কারণ হলো- এই মাসেই বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর আরোপিত রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতার মাধ্যমে নিজের প্রভুর আহ্বানে সাড়া দেন তিনি।

এই মাসটিকে কেন্দ্র করে অনেকের মাঝে বিশেষ কিছু আমলের প্রবণতা দেখা যায়। অথচ কোরআন হাদিসে এই মাসের জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বা ইবাদত পাওয়া যায় না। তবে কিছু আমল আছে অন্যান্য মাসের মতো এই মাসেও করা যায়। যেমন, প্রতি সোমবারে রোজা রাখা। 

সোমবারে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে— হজরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, সোমবারের রোজা সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এ দিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং এ দিনেই আমি নুবুওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছি বা আমার উপর (কোরআন) নাযিল করা হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস, ১১৬২)