ভারতে এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এমপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব-কবলিত একটি দেশ থেকে ভারতে আসা এক ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রোববার এমপক্সে আক্রান্ত সন্দেহভাজন ওই রোগীকে হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 

তবে ওই রোগী এমপক্ষের কোন প্রজাতির ধরনে আক্রান্ত হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

নির্ধারিত প্রোটোকল মেনে ওই রোগীর চিকিৎসা চলছে। এছাড়া তার সংস্পর্শে আসা লোকজনকে শনাক্ত করার কাজও শুরু হয়েছে। দেশটিতে এর প্রভাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গত মাসে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকায় এমপক্সের নতুন ধরনের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত।

মাঙ্কিপক্স কী, কীভাবে ছড়ায়? লক্ষণগুলো কী?
২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতে এমপক্সের পুরোনো ধরন ক্ল্যাড-২ এ আক্রান্ত ৩০ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) শনাক্ত হওয়া এমপক্স ভাইরাস প্রতিবেশি দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর গত মাসের মাঝের দিকে ডব্লিউএইচও আফ্রিকায় প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে।

গত বছরের জানুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ডিআর কঙ্গোতে ২৭ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন; যাদের বেশিরভাগই শিশু।

অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস এমপক্স সাধারণত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা।

আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

তবে ছোট শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মারাত্মক। এর আক্রমণের কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।