আগস্টে কমেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মূল্যস্ফীতির দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে, যদিও তা আহামরি নয়। গত মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

রবিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিবরণীতে মূল্যস্ফীতির এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএসের তথ্যানুসারে, এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। গত মাসে যা ছিল যথাক্রমে ১১ দশমিক ৩৬ ও ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ; জুলাই মাসে তা ছিল যথাক্রমে ১৪ দশমিক ১০ ও ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এছাড়া আগস্ট মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০১ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির সরকারি হিসাবের তুলনায় বাস্তবে পরিমাণ আরও বেশি। যার প্রমান হিসেবে বলছেন— এক বছর ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৬০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের এপ্রিলে, ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর আর কখনো খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে ওঠেনি।