শ্রীপুরে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা চালক নূরুজ্জামানকে মারপিট করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টায় সাতখামাইর চেরাগআলী মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাইক্রোবাস চালক নূরুজ্জামান।

নূরুজ্জামান কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের আব্দুস সাহিদের ছেলে। তার মাইক্রোবাস কাওরাইদ ও বরমী স্ট্যান্ডের তালিকাভুক্ত। তিনি নিগুয়ারী ইউনিয়নের তললী (টানপাড়া) গ্রামের বিদেশগামী যাত্রী ফাহিমসহ ৮-১০ স্বজনকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন।

মাইক্রোবাস চালক নূরুজ্জামান জানান, ফাহিম মীরসহ (২৩) তার ৮-১০ জন স্বজন নিয়ে মাইক্রোবাসে বিমানবন্দর যান। তিনি গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের তললী (টানপাড়া) গ্রামের জয়নাল মীরের ছেলে। ফাহিম মঙ্গলবার রাতের ফ্লাইটে সৌদি আরব রওনা দেন। বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টায় মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর চেরাগআলী মাজার সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়েন। চেরাগআলী মাজার সংলগ্ন মোড় পার হয়েই সড়কে তিনি দুটি গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

ডাকাতি হবে ভেবে চালক মাইক্রোবাস ঘুরিয়ে পেছনে আসতে চাইলে গজারি বনের ভেতর লুকিয়ে থাকা মুখোশ বাঁধা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত তার মাইক্রোবাস ঘিরে ফেলে। এ সময় এক ডাকাত চালক নূরুজ্জামানকে কেন মাইক্রোবাস ঘুরিয়ে পেছনে নিতে চেষ্টা করল, এই প্রশ্ন রেখে চালককে তার হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে চালক নূরুজ্জামান ডান হাত দিয়ে কোপ ফেরানোর চেষ্টা করলে তিনি জখমপ্রাপ্ত হন। পরে মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যান। ডাকাতরা তাদের হাতে থাকা দা, চাইনিজ কুড়াল এবং করাতের ভয় দেখিয়ে নারী ও পুরুষ যাত্রীদের কাছ থকে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়।

এ সময় বরমী থেকে একটি কাভার্ডভ্যান মাওনার দিকে আসার পথে সড়কের ওই স্থানে লোকজন দেখে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে বরমীর দিকে চলে যান। সড়কে ডাকাতির খবর পেয়ে পাশের গুচ্ছগ্রাম থেকে লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে আসার খবর পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে চলে যান।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নয়ন কর বলেন, ‘সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির কোনো ঘটনার কথা আমরা শুনিনি। কেউ থানায় অবগতও করেনি।’