বোলিংয়ে সাকিবের ব্যর্থতার কারণ ফাঁস

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টেও এটি স্পিনারদের সহায়তা করেছে। যা বোঝা যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার বোলিং দেখেই। সফল হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তবে একই ম্যাচে একেবারেই বর্ণহীন ছিলেন সাকিব আল হাসান। দুই ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৬.১৯ ইকোনমিতে ১২৯ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। ম্যাচ শেষে সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে কোনো ম্যাচেই ইকোনোমি ৫ স্পর্শ করেনি। আর ন্যূনতম ২০ ওভার বল করে উইকেট না পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এই নিয়ে পঞ্চম বার। তিনি এই পারফরম্যান্স করেছেন এমন পিচে, যেখানে প্রতিপক্ষ স্পিনাররা ভালো পারফর্ম করেছেন। সাকিবের এই ব্যর্থতার কারণ নিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে কথা বলেছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। সাকিবের উইকেট না পাওয়ার পেছনে বাঁহাতি ব্যাটারের আধিক্য এবং উইকেটের ঠিকঠাক সহায়তা না পাওয়াকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মাঞ্জরেকার বলেন, ‘তার জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে ভারতীয় দলে অনেক বেশি বাঁহাতি ব্যাটার। শীর্ষ ছয়ে তিনজনই বাঁহাতি। যশস্বী জয়সওয়াল, রিশাভ পান্ট এবং রবীন্দ্র জাদেজা তিনজনই বাঁহাতি এবং তারা ভালো ব্যাটসম্যানও। ফলে সে কিছুটা চাপে ছিল। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে উইকেট টার্নিং ছিল না। সাকিব এমন বোলার যে টার্নিং উইকেট পেলে ঠিকঠাক বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারে। বোলিংয়ে তাকে আমার তেমন উজ্জীবিত মনে হয়নি।’ সাকিবের বাজে বোলিং পারফরম্যান্সের পেছনে আরেকটি সূক্ষ্ম বিষয়কে তুলে ধরেছেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের উইকেট দেখে এবং প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দেখে হয়তো তার মনে হয়েছে যে তার ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলাটাই বেশি ভালো হবে। পাশাপাশি এটাও বলতে হবে যে (নাজমুল) শান্ত তাকে কম বোলিং করিয়েছে। যখন রিশাভ পান্ট ব্যাট করছিল, শুধু মেহেদী হাসানই এক প্রান্তে বোলিং করে গেল। ম্যাচআপের কারণেই এমনটা হয়েছে।’