ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলা

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লেবানন থেকে রাতভর রকেট হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী৷ অন্যদিকে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী৷ হিজবুল্লাহর সক্ষমতা এবং সামরিক অবকাঠামোর ‘ক্ষতিসাধন ও দুর্বল' করার জন্য তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দখলদার দেশ ইসরায়েল৷ খবর রয়টার্স, এএফপির।

ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রোববার সকালে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো৷ এর আগে রাতভর লেবানন থেকে ইসরায়েলে দেড়শোর মতো রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী৷ এর বেশিরভাগই রুখে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে কয়েকটি রকেট উত্তরের শহর হাইফাতে গিয়ে পড়েছে৷ সেখানে অন্তত তিনজন আহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷

উদ্ধারকারীরা আহত কয়েকজনকে চিকিৎসা দিয়েছে৷ তবে কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি৷ বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে অভ্যন্তরে চালানো হামলা বলে দাবি তাদের।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো ‘হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা' অব্যাহত রেখেছে৷ শনিবার আইডিএফ লেবাননের ২৯০টি স্থানে হামলার কথা জানিয়েছে৷

শুক্রবার বৈরুতের শহরতলিতে ইসরায়েলের হামলায় তিন শিশুসহ ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন৷ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েল জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র কমান্ডারও রয়েছেন৷

২০০৬ সালে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধের পর বৈরুতে শুক্রবারের হামলাটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা৷ নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও সাতজন নারী রয়েছে৷ ইসরায়েলের দাবি, এই হামলায় শীর্ষ নেতাসহ হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন সদস্যও নিহত হয়েছেন৷

ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান ফোর্সের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল এই হামলায় নিহত হয়েছেন৷ জঙ্গিগোষ্ঠীটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আকিল একটি ভবনের নিচতলায় বৈঠক করছিলেন৷

কয়েকদিন আগেই শত শত পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে লেবাননে দুই হিজবুল্লাহ সদস্যসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন৷ ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলই এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে৷ এরপর হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে পালটা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকির মধ্যেই ইসারায়েলের এই বিমান হামলার ঘটনা ঘটলো৷