উপাচার্যের পদটি ক্ষমতার নয়, দায়িত্বের: ইবির নবনিযুক্ত উপাচার্য

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি:বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদটি ক্ষমতার নয়, বরং দায়িত্বের জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে উপাচার্য পদে যোগদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দীকুর রহমান আশ্রাফীসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

ড. নকীব বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদের রক্তের ফসল হিসেবে আমি ইবিতে এসেছি। এখানে আমার কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই। আমার  উদ্দেশ্য আর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য একই। উপাচার্যের পদটি ক্ষমতার নয়, বরং দায়িত্ববোধের জায়গা। আমি দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের সহযোগিতায় একটি বৈষম্যহীন পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে সামনে অগ্রসর হবো।

তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের  রক্তের বিনিময়ের জন্য আমি যদি আমার বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একটি উন্নত  এবং আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।  আর এটি করতে পারলেই  আমি মনে করি আমার  প্রচেষ্টা সফল হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের জন্য আমি কাজ করব। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি একটি ছাত্রবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করবো।

উপাচার্য আরো বলেন, আমি কোন স্বার্থের জন্য না কোন গোষ্ঠীর জন্য না। আমি নির্দিষ্ট কোনো আদর্শের জন্য না। আমি একমাত্র ছাত্রদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং আমার  চিন্তা চেতনার সাথে ঐক্যের মিল রেখে আমি  কাজ করবো। আমার কাজ হবে সত্য পথের কাজ। আমার কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আদর্শ এবং আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে পৌঁছান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাকে স্বাগত জানায়। সেখান থেকে তিনি উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেন। যোগদান শেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আসরের নামায় আদায় করেন এবং জুলাই বিপ্লবে নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।

নামায শেষে প্রশাসন ভবন চত্বরে বিএনসিসির সদস্যরা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শহীদ স্মৃতিসৌধ এবং মুক্ত বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।