৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
নেপালের দুটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যুগান্তকারী একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
আগামী বৃহস্পতিবার ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি করবে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভায়াপার নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)।
নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নেপালের এনইএ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৬ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার করে পাবে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। আর এ কারণেই ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি।
গত ২৮ জুলাই চুক্তিটি হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।
চুক্তি প্রসঙ্গে নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিরঞ্জীবী চাটাউ জানান, চুক্তির সব প্রস্তুতি শেষ করতে মঙ্গলবার ও বুধবার (১ ও ২ অক্টোবর) কাঠমান্ডুতে জ্বালানিসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
নেপালের এনইএ প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির পরিকল্পনা করছে। তাদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৪ হাজার মেগাওয়াট-ঘণ্টা। পাঁচ মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করে নেপাল ৯ দশমিক ২১৬ মিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশা করছে।
নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করা হবে ভারতের মুজাফফরপুরের মিটারিং পয়েন্টসহ ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে। চুক্তি অনুসারে, ধলকেবার থেকে মুজাফফরপুর পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইনে কোনো প্রযুক্তিগত ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ বা মেরামতের খরচ নেপালের এনইএ বহন করবে।
নেপালের এনইএ ২৫ মেগাওয়াটের ত্রিশুলি ও ২২ মেগাওয়াটের চিলিম প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রফতানি করতে চায়। দুটি কেন্দ্রই ভারত থেকে বিদ্যুৎ রফতানির অনুমোদন পেয়েছে।