০১ অক্টোবর, ২০২৪
ইবি প্রতিনিধি: উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে উত্তরবঙ্গে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.শেখ এ বি এম জাকির হোসেন ও জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সরকারী অধ্যাপক ইনজামুল হকসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, "ভারত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিভিন্ন সময়েই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে কোনো সতর্কতাও দেওয়া হয় না। তাই আমরা দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। ভারত আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে। ভারতের সাথে সকল আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যা এখন সময়ের দাবি।"
জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সরকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক বলেন, ভারতে এক তিস্তাতে বাধ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ৩৪ টা যার, মধ্যে ১৭ টা বাস্তবায়ন করেছে। একটা আন্তর্জাতিক নদীতে জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। এইরকম বাধেঁর ফলে তিস্তার পানি আসার কথা উত্তরবঙ্গের মধ্য দিয়ে কিন্তু সেটা পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদেরকে পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের কাছে নতজানু নীতির ফলে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এখন দ্রুত এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক নদী নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের অন্যায় এই দেশের মানুষ মেনে নিবে না। আমরা ভারতের কাছে নদীর পানির ন্যায্যতা চাই।