০৫ অক্টোবর, ২০২৪
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের বিএনপির সুধী সমাবেশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ৮ ও ১১নং ওয়ার্ডে বিএনপির সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে বহিষ্কার করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
বহিষ্কৃতরা হলেন, খালিশপুর থানার অর্ন্তগত ১১নং ওয়ার্ড বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন, ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শুক্রবার রাতে বিএনপি মিডিয়া সেল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভােকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া ১ (এক) সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে ৮ ও ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ আয়োজনে সুধী সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন ও যুবদল নেতা নাজমুল হক বাবু গ্রুপের মধ্যে মিছিল, নাম ঘোষণা ও চেয়ারে বসা নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ মঞ্চের উঠে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। সমাবেশ সেখানেই পণ্ড হয়ে যায়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জন আহত হন। আহতরা হলেন, নগরীর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারোয়ার হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নুরুজ্জামান, বিএনপির সদস্য শহিদ, ১১নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা, ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. শরিফুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস ও মো. সোহেল, ১৩নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিপ্লব, যুবদলের সদস্য শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, যুবদলের নেতা নাজমুল হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, যুবদলের সদস্য মো. রানা, ছাত্রদল কর্মী মো. রেজাউল, যুবদলের সদস্য মো. সোহেল, হোসেন সরদার, যুবদল কর্মী মোস্তফা। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। আমি হাসপাতালে তাদেরকে দেখে এসেছি।
খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।