০৯ অক্টোবর, ২০২৪
বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ইসি সচিব শফিউল আজিম এ সংক্রান্ত সংশোধনী বিজ্ঞপ্গি জারি করেছে।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার শূন্য রয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এমন পরিস্থিতিতে গেজেট প্রকাশ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে ইসি সচিবালয়। সাধারণত আইন মন্ত্রণোলয়ের মন্ত্রী পযন্ত অনুমোদন হয়। এখন উপদেষ্টা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পযায়ে গিয়ে অনুমোদন হয়।
জানতে চাইলে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, “আমরা আইনগত মতামত নিয়েছি আইন মন্ত্রণালয় থেকে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এ গেজেট করেছি আমরা। এখন কমিশন নেই, আদালতের নির্দেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় আইনগত মতামত দিয়েছে-এক্ষেত্রে ইসি সচিবালয় গেজেট প্রকাশ করতে পারবে।”
তিনি জানান, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে এ গেজেট করা হয়েছে। এখন নিয়মানুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ চাইলে শপথ আয়োজনের মাধ্যমে দায়িত্বও দিতে পারেন বা করণীয় বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগ দেখবে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হওয়া ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। ২০২১ সালে হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শাহাদাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির নগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।
এরপর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা শাহাদাত ৯ জনকে বিবাদি করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। গত ১ অক্টোবর রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল। এরপর এক সপ্তাহ পর আগের গেজেট সংশোধনী করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি সচিবালয়।
প্রবল আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়েছে। মেয়রকে সরানোর পর বসানো হয়েছে প্রশাসক। এখন সব বিষয় অনুকূলে থাকলেও বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার শেষ পর্যন্ত কি পদক্ষেপ নেয় তা দেখতে অপেক্ষা করতে হতে পারে।