১১ অক্টোবর, ২০২৪
আজ বিশ্ব ডিম দিবস। ডিমের গুণগত মান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ২২তম বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হবে।
দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিমে পুষ্টি, ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’।
অন্য বছরের মতো এবার বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে তেমন বড় কোনো আয়োজন নেই। ছোট পরিসরে রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) আলোচনা সভার আয়োজন করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
ডিমকে বলা হয় পরিপূর্ণ খাদ্য। পৃথিবীতে মাত্র কয়েকটি খাদ্যকে সুপার ফুড হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ডিম অন্যতম। বর্তমানে বাংলাদেশে ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা মাথাপিছু ১৩৬টি।
ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষজাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) গঠিত হয়। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৮০।
সংস্থাটি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন এবং সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ আয়োজন করে, যা পরবর্তী সময়ে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে পালিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস, যার পরিধি ও ব্যাপ্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে দেশে বছরে ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। বাংলাদেশে মাথাপিছু ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা ১৩৬টি। প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি জনসংখ্যার এদেশে প্রতিদিন মাত্র সাড়ে ৬ কোটি ডিম উৎপাদন হয়।