১২ অক্টোবর, ২০২৪
নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। এতে স্থানীয় নেতাকর্মিদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার সামনে থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল সহকারে সুন্দলপুর ইউনিয়নের রাজুর গাঁও গ্রাম হয়ে চাপরাশিরহাট পর্যন্ত শোডাউন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আবেদকে গত ৩-৪ দিন আগে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক স্বমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ কারণেই বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের তার অনুসারী নেতাকমিরা গত তিনদিন কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় মিছিল নিয়ে শোডাউন করেছেন। এসময় নেতাকর্মিদের তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্ধশতাধিক বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের নিয়ে বিএনপি নেতা আবেদ মোটরসাইকেল শোডাউন করে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শনে যান। মোটরাসাইকেল শোডাউন করে পূজামন্ডপে যাওয়ার কারণে গ্রামীণ সড়ক ও বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মিদের মোটরসাইকেল বহর বা অন্য কোনো যানবাহনে শোডাউন না করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা রয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলসহ সব পর্যায়ের কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় বিএনপি। তবে দলের কেন্দ্রীয় এই নির্দেশ আমলেই নেননি বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ । যে কোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিন্ধান্ত মেনে চলাই উত্তম। এভাবে দলের সিনিয়র নেতারা দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করলে তৃণমূলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
মোটরসাইকেল শোডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,আমাদের পূজামন্ডপ পরিদর্শন চলছে। স্বাভাবিক ভাবে আমাদের নেতাকর্মিরা পূজামন্ডপে যাওয়ার সময় পরিবহন ব্যবহার করেছে। এটা কোন মোটরসাইকেল শোডাউন বা শোভাযাত্রা না। কোন ব্যক্তির শোডাউন হচ্ছেনা। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সনাতন ধর্মালম্বী ভাইদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য যাচ্ছি।
দলের নির্দেশ অমান্য করে কোনো নেতার শোডাউন করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলব।