ইবি’র জিয়া পরিষদের দুই নেতা বহিষ্কার

ইবি’র জিয়া পরিষদের দুই নেতা বহিষ্কার

ড. একেএম মতিনুর রহমান-অধ্যাপক ড. এএসএম শরফরাজ নেওয়াজ।

ইবি প্রতিনিধি : সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ থেকে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন পরিষদের সাবেক সভাপতি লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান ও সহ-সভাপতি, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক  ড. এএসএম শরফরাজ নেওয়াজ। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (১৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, এবছর শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে পরিষদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এ দুই শিক্ষক। এতে ড. মতিনুর সভাপতি ও ড. শরফরাজ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা পূর্ণ প্যানেলে অংশ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচটি পদে জয় লাভ করে। জিয়া পরিষদ নেতাদের অভিযোগ দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করায় তারা পূর্ণ প্যানলে জয়লাভ করতে পারেননি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ড. মতিনুর ও ড. শরফরাজের কর্মকান্ড সংগঠনের আদর্শ বিরোধী উল্লেখ করে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৫ দিন সময় দিলেও এ সময়ে তারা কোন জবাব দেননি। উপরন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হতে পারে আঁচ করে গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিষদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা। পদত্যাগপত্রে ১৭ জন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হলেও কারো স্বাক্ষর ছিলনা। কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন তাঁদরকে না জানিয়েই পদত্যাগপত্রে নাম দেওয়া হয়েছে। এবিষয় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মিনহাজ উল হক বলেন, 'জিয়া পরিষদ থেকে আমি পদত্যাগ করব কন? এখানে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছ, এটা আমি জানিই না।'

এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর জিয়া পরিষদের বাইরে গিয়ে সাদা দল গঠনের ঘোষণা দেন বহিষ্কৃত শিক্ষকরা। এতে ড. মতিনুরকে আহবায়ক ও  ড. এ শরফরাজ সদস্য সচিব করে ২৬ সদস্যের কমিটি দেওয়া হয়। সেই কমিটিতেও সম্মতি ছাড়াই  নাম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কয়েকজন শিক্ষক। পরিষদ নেতাদের অভিযোগ এরআগেও তারা পেশাজীবি পরিষদ ও সাদা দল গঠন করে দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছিলেন। পরে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে জিয়া পরিষদ রেখে বাকি দল বিলুপ্ত করা হয়। 

বহিষ্কারের বিষয়ে অধ্যাপক ড. শরফরাজ নেওয়াজ বলেন, 'আমি যে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছি সেখান থেকে আমাকে বহিষ্কার করবে কিভাবে?'

এ বিষয়ে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসাইন বলেন, 'কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সময় সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যদি তাঁরা জবাব না দেয় তাহলে কার্যনির্বাহী সভায় তাঁদেরকে বহিষ্কার করা হবে। সে অনুযায়ী জবাব না দেওয়ায় তাঁদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।'