অত্যাচার থেকে বাঁচতে নদীতে কোরআন ভাষিয়ে দিচ্ছেন চীনা মুসলিমরা

অত্যাচার থেকে বাঁচতে নদীতে কোরআন ভাষিয়ে দিচ্ছেন চীনা মুসলিমরা

ফাইল ছবি।

চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে উইঘুর আদিবাসিদের বসবাস। ধর্মীয় অনুসারী হিসেবে তারা মুসলিম। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে মুসলমানদের উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। চীন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ট চীনের মুসলমানরা। তাদের উপর যে পরিমাণ অমানবিক অত্যাচার চালানো হয় তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।

তাদের অত্যাচারের মধ্যে মহিলাদের জোর করে গর্ভপাত করানো থেকে শুরু করে ছেলে-মেয়েদের উভয়কেই বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হচ্ছে। নির্মম অত্যাচার চালানোর পাশাপাশি উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষের কিডনি খুলে বিক্রি করার অভিযোগও উঠেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এবার জানা গেল মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন বাজেয়াপ্ত করছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। শুধু এতেই ক্ষন্ত হয়নি তারা, যাঁর কাছ থেকে কোরআন পাওয়া যাচ্ছে তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচারও চালাচ্ছে। সম্প্রতি এই এরকম একটি ঘটনার সময় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পানিতে ফেলে দেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন মানুষ। পরে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যেই আসতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কিছুদিন ধরেই শি জিনপিং প্রশাসন মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন বাজেয়াপ্তের পর নষ্ট করছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি চীনের আলমাটি অঞ্চলের পানফিলভ জেলার এড্যারলি গ্রামে প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন মুসলিম স্থানীয় ইলি নদীতে কোরআন ফেলে দেন। আর এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। 

ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘটনা শুধু ওই এলাকার নয় জিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন এলাকাতে প্রতিদিন এই ঘটনাই ঘটছে। বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোরআন বাজেয়াপ্ত করছে চীনের প্রশাসন। এর পাশাপাশি অকথ্য অত্যাচারও চালাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশিরভাগ উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কোরআনের পবিত্রতা রক্ষার জন্য তাকে প্লাস্টিকে মুড়ে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন।