লকডাউনে তিন ধরনের বিল মওকুফ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

লকডাউনে তিন ধরনের বিল মওকুফ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল মওকুফ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন - ছবি সংগৃহীত

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে মধ্যবিত্ত ও নিন্নবিত্ত মানুষের আয় অনেকটাই বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই মাসের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল মওকুফ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

সোমবার জনস্বার্থে এ আবেদন করেছেন বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এসএম জুলফিকার আলী জুনু।

তিনি বলেন ২ মে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর এ আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ‘যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের মানুষের অভিভাবক ও নির্বাহী প্রধান। দেশে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ও মহামারিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ও অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। দেশের জনগণকে করোনার সংক্রমণ ও মহামারি থেকে রক্ষায় আপনি ও আপনার সরকার জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৮ দফা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত দিক নির্দেশনাও দিয়েছে।’

আবেদনে বলা হয়, ‘দেশে লকডাউন চলছে। মৃত্যুহার ও করোনায় আক্রান্তের হারও কিছুটা কমে এসেছে। দীর্ঘ লকডাউনে মধ্যবিত্ত ও নিন্নবিত্ত মানুষের আয় রোজগার প্রায় শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। এর মধ্যে চলছে পবিত্র রমজান মাস, সামনে ঈদ। পরিবার ও সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহে মানুষকে হিমশিম খাচ্ছে। আয় না থাকায় সঠিক সময়ে বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। সমাজের অনেক সম্মানিত পেশার শিক্ষিত লোকজনদেরও অপমানিত হতে হচ্ছে। লকডাউনে আয় রোজগার না থাকায় দেশের অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত লোকজন যথাসময়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলের টাকা নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় সংযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কায় রয়েছেন।’

এসব বিল মওকুফ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার একটি নির্বাহী আদেশে দেশের মানুষ কিছুটা শান্তিতে থাকতে পারে। তাই করোনা মহামারি ও দীর্ঘ লকডাউনের বিষয় বিবেচনা করে জনস্বার্থ ও জনদুর্ভোগ বিবেচনায় বেসরকারি পর্যায়ের দুই মাসের পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল মওকুফ করে দেয়ার নির্বাহী নির্দেশনা জারি করতে আপনার মহানুভবতা কামনা করছি।’