দ্রুত নিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশা

দ্রুত নিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশা

জাহিদ হাসান (নয়ন)

জাহিদ হাসান (নয়ন)

শিক্ষাই জাতীয় ও সামাজিক সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান করতে পারে। আর শিক্ষকের উপরেই যেহেতু জাতীর ভবিষ্যৎ। কাজেই এত বড় জাতীয় দায়িত্বকে অবহেলা করা উচিত নয়। দেশের শিক্ষা বিভাগ সুসংগঠিত ও সফল হলে অন্য সকল বিভাগ সহজেই সফল হবে।

সারাদেশে ৩১১ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দূর করতে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ১২ টি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ২১৫৫ জন প্রার্থীকে পিএসসি নিয়োগ দিতে সুপারিশ করে। কিন্তু দীর্ঘ ৬ মাস অতিক্রম হওয়ার পরও নিয়োগের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়নি।

সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে প্রার্থীদের ০৪/০৭/২০২১ তারিখ থেকে ১২/০৭/২০২১ তারিখ পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় নির্ধারন করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ০১/০৭/২০২১ তারিখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এমতাবস্থায় প্রার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

সারাদেশে শিক্ষক সংকট দূর করার লক্ষ্যে পিএসসি আলাদাভাবে মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক (নন-ক্যাডার) পদে নিয়োগ দেন। প্রায় ৩ বছর অতিক্রম হওয়ার পথে তবুও নিয়োগ কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়ায় প্রার্থীদের মাঝে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। পিতা-মাতা,আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশিদের নিকট থেকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠনে আমরা শিক্ষক সমাজ বদ্ধপরিকর। আমরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে মুজিববর্ষের গুরুত্বকে বাংলার গ্রামগঞ্জে ও শহরগুলোতে তুলে ধরতে চাই। আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবার চাই যে, খুবই দ্রুত এই দীর্ঘ  পথ যাত্রার অবসান হোক এবং পরিবারের মুখে হাসি ফুটুক।

লেখকঃ সহকারী শিক্ষক (সুপারিশপ্রাপ্ত)
            সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।