ইবিতে চাকরির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ দিনমজুরদের

ইবিতে চাকরির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ দিনমজুরদের

ইবিতে চাকরির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ দিনমজুরদের

চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে আবারো আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত (ডে লেবার) কর্মচারীরা। এবার দাবি আদায়ে উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করেছেন তারা। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কার্যালয়ের সামনে আকস্মিকভাবে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।  

জানা যায়, সোমবার দুপুরে অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদের নেতৃত্বে উপাচার্যের কার্যালয় প্রায় আধাঘন্টা অবরোধ করে রাখেন এসব কর্মচারীরা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হট্টগোল শুরু করলে প্রক্টরিয়াল বডি ও ইবি থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে কর্মচারীদের দুই জন প্রতিনিধি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে দাবির কথা জানান। তবে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পরও কর্মচারীরা বাইরে এসে আবারো হট্টগোল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে কর্মরত এসব কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরী স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে কর্তৃপক্ষ থেকে কোন আশ্বাস না পাওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করছেন তারা। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। 

আন্দোলনের বিষয়ে অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদের আহ্বায়ক টিটু মিজান বলেন, 'প্রশাসন থেকে দাবির ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোন আশ্বাস পাইনি। আগামীকাল অবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'আজকের আন্দোলনের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ভুল ছিলো। কর্তৃপক্ষ নিয়মের মধ্যে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।'

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তাদেরকে দৈনিক মজুরি দিয়ে ডেকে আনা হয়েছে। আমি চাইলেই তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামের বাইরে গিয়ে নিয়োগ দিতে পারি না। কাউকে চাকুরি দিতে হলে নিদিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা একটা এজেন্সির মাধ্যমে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হলে প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।