বেদানা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়; হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

বেদানা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়; হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

ফাইল ছবি

একাধিক গবেষণার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন, আজকের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে শরীর বাঁচাতে বেদানার রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে বেদানার ভিতরে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ শক্তিশালী উপাদান দেহে প্রবেশ করা মাত্র প্রতিটি কোষ, শিরা এবং উপ-শিরাকে, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে ছোট বা বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। 

তবে এখানেই শেষ নয়, প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফলের রসকে জায়গা করে দিলে আরও নানাবিধ উপকার মেলে। চলুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য:

বেদানার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দূষিত ও তামাক জাতীয় জিনিস থেকে পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ থেকে কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, ডিএনএ এর ক্ষতি রোধ ও ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে। হার্ভার্ড রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গবেষণায় দেখা গেছে যে বেদানার রস ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে:

প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে বেদানা রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ফলে স্ট্রেস এবং টেনশন কমে, হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাহলে নিয়মিত বেদানা খাওয়ার অভ্যাস করুন উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

বেদানার ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণ আছে। শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বেদানার রস।

হজমশক্তি বাড়ায়:

বেদানায় দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:

বেদানা দেহের ক্ষতিকর কোলস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়। এতে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়:

বেদানা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। আর এ কারণে এটি অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগীদের জন্যও উপকারি।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়:

আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ বেদানা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। এতে অ্যানেমিয়া ও রক্তের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী:

বেদানা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। এটি মিষ্টি হলেও সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের কোনও সমস্যা হয় না। বেদানার রসে ফ্রুক্টোজ থাকলেও এটি অন্য ফলের রসের মতো রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না।

ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে:

বেদানা ত্বক সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, সাইট্রিক আসিড ও ট্যানিন সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে।

ব্যথা দূর করতে ডালিম:

বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বেদানা। তরুণাস্থির ক্ষয় রুখতেও উপকারী বেদানা। এছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।