পাবিপ্রবিতে এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাডেমিক জালিয়াতির অভিযোগ

পাবিপ্রবিতে এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাডেমিক জালিয়াতির অভিযোগ

পাবিপ্রবিতে এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাডেমিক জালিয়াতির অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি:এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাডেমিক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠেছে। রেজিস্ট্রার বরাবর ওই একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে হেকেপের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।

রেজিস্ট্রারের বরাবর লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে ড. নাজমুল ইসলাম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার মডারেশন হওয়া প্রশ্ন টেম্পারিং করে নিজের পছন্দমতো প্রশ্ন যুক্ত করেন। এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন বর্ষ ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফল ছাত্রদের দিয়ে মূল্যায়ন ও প্রস্তুত করান, খাতা মূল্যায়নে বিলম্ব করে সেশনজট তৈরি করেন এবং পক্ষপাতিত্বমূলক নম্বর দিয়ে পছন্দের ছাত্রছাত্রীদের ভালো রেজাল্ট করিয়ে দেন।

গত ২৩ অক্টোবরে বিভাগীয় সভাপতি বরাবর এবং গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ  দেয়া হলেও অদ্যবধি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন কিংবা কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী শিক্ষক রাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা খুবই লজ্জাকর। যা ভাবতেই কেমন লাগে। ড. নাজমুল ইসলাম শুরু থেকেই একাডেমিক জালিয়াতি করে এলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি কোন আমলেই নেয়নি। ফলে লাগামহীনভাবে তিনি নীতিনৈতিকতার বিরুদ্ধে জোরেসরে একাডেমিক জালিয়াতি করে চলেছেন।

অভিযুক্ত ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা। অল্প কথায় বলতে চাই-এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।’

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম শিক্ষকদের  মূলত এটা অভ্যন্তরীণ হানাহানির কথা উল্লেখ করে বুধবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে বলেন,‘যেহেতু অভিযোগ আসছে; তাই বিষয়টি দেখা হবে।’ ড.নাজমুল ইসলাম তার অপরাধ স্বীকার করার পরও তার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এত দুর্বলতা কেন জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম নরম সুরে বলেন,‘এ কথা ঠিক নয়। অভিযোগ পেয়েছি, খতিয়ে দেখা হবে।’