বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ৮০ শতাংশের উপরে

বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ৮০ শতাংশের উপরে

বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ৮০ শতাংশের উপরে

বাংলাদেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সার্বিক অবস্থা জানাতে যেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, "আইডিসিআরের যে তথ্য আছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরে অমিক্রণের হার বেশি। অন্য শহরে কম। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক বিচারে ডেল্টা ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ শতাংশের উপরে।"তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও যে সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে ছিল সেটা আজকের (সোমবার) হিসেবে ২০.৮৮ শতাংশ।সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়াকে "একটা অশুভ ইঙ্গিত" বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মি. আলম বলেন, অমিক্রনের সংক্রমণ আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ হচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বেশি। ঢাকার বাইরে অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব নেই বললেই চলে। তবে ঢাকায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বেশি প্রাধান্য বিস্তার করছে।

তিনি মন্ত্রীপরিষদ থেকে যে ১১-দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সেগুলো প্রত্যেকটা উল্লেখ করে তিনি বলেন সেগুলো মেনে চলতে হবে।সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আায়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান বুস্টার ডোজের টিকার বয়স ৬০ বা তার বেশি বয়স থেকে কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে। তবে যারা সম্মুখসারিতে কর্মরত তাদের কোন বয়সসীমা নেই বলে তিনি মনে করেন।"কোন হাসপাতাল বন্ধ করা হয় নি। বিছানাগুলো অন্য রোগিদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। তবে সংক্রমণ বাড়ার কারণে বিছানাগুলো আবারো প্রস্তুত করা হয়েছে।"

তিনি বলেনম "সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। হাসপাতাল, চিকিৎসক এবং নার্সের চেয়ে যদি রোগি বেড়ে যায় তাহলে সেটা সামাল দেয়া কষ্টকর এবং দূরহ হয়ে যাবে" বলে তিনি মন্তব্য করেন।বাংলাদেশের নভেম্বরের ১লা তারিখ থেকে ১২-১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে।তবে যারা পড়ালেখার করছেন না তাদেরকে প্রশাসনের মাধ্যমে খুঁজে বের করে টিকার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সূত্র  : বিবিসি