ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : কাজ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুমকি স্থানীয় ঠিকাদারদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : কাজ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুমকি স্থানীয় ঠিকাদারদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : কাজ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুমকি স্থানীয় ঠিকাদারদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। রবিবার (১৯ জুন) ইবি ঠিকাদার সমিতির ব্যানারে প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এতে মানববন্ধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মো. তারেক এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক আলী হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন তারা। তবে প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, নীতিমালা মানতে গিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের চলমান মেগাপ্রকল্পের অধীন উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী কাজ স্থানীয় ঠিকাদারদের না দেওয়ায় প্রশাসনকে চাপে ফেলতে তারা এসব কার্যক্রম চালাচ্ছে।

প্রায় অর্ধশত ঠিকাদারের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন থেকে দাবি মানা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়াসহ নানা হুমকি দেন। একইসাথে আগামীকাল সোমবার প্রকৌশল অফিস ঘেরাও করার ঘোষণা দেন তারা। মাবনবন্ধনে ঠিকাদার রেজাউল করিম খান বলেন, ‘আমাদের বাপ দাদার জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু আমাদেরকে বাদ দিয়ে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। বর্তমান দুর্নীতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দূর্নীতি করে চলেছে। প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের বিষয়টা যদি আমলে না নেন তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’

ঠিকাদার আশিকুর রহমান জাপান বলেন, ‘যারা অতীতে কাজ করে এসেছে তাদেরকে কাজ না দেওয়ার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে আতাত করে তাদেরকে কাজ থেকে বি ত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে তাহলে গনআন্দোলন গড়ে তুলবো। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মো. তারেক জানান, বিশ^বিদ্যালয়ের মেগাপ্রকল্পের অধীন নির্মানাধীন ভবনগুলোর আসবাবপত্রের জন্য মোট ২৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সরকারী ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী এই বরাদ্দ সর্বোচ্চ পাঁচ অংশে ভাগ করে কাজ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের ছয় কোটি টাকার কাজ করা প্রয়োজন। আমরা একে তিন কোটি করে দুটি অংশে ভাগ করেছি। কিন্তু এককভাবে স্থানীয় ঠিকাদাররা এই পরিমাণের কাজ করতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া তাদের কাজের মানও ভালো না। তাই নীতিমালা মানতে আমাদের বাহিরের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ঠিকাদাররা ২৫ লক্ষ টাকা করে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে তাদেরকে দেওয়ার দাবি করছেন। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী এটা বেআইনি, তাই এটি করা সম্ভব নয়। তবুও তারা দাবি আদায়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। আর প্রশাসনের মুখপাত্র হিসেবে আমি কাজ করি, এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।