শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ও প্রতিকার নিয়ে কুবিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ও প্রতিকার নিয়ে কুবিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ও প্রতিকার নিয়ে কুবিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে "কোভিভ ১৯ মহামারীঃ করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ও প্রতিকার" বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ( ২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দিনব্যাপী এ কর্মশালা চলবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভদের (সি আর) নিয়ে এ কর্মশালা শুরু হয়৷

 আইকিএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড মোঃ আসাদুজ্জামান৷ রিসোর্স পার্সন হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক জোবেদা খাতুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আজকের সেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

এই সেশনটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিক দিয়ে৷ আমরা সবসময় শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলি কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য এড়িয়ে যাই৷ কিন্তু মানসিক শান্তি হচ্ছে কিছু কিছু সময় শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ৷ শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য কানেক্টেড৷ শুধু কোভিড পরবর্তী সময় নয়, মানসিক স্বাস্থ্য সবসময়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ৷ এটি সরকার, পলিসি মেকারদের কাছেই শুধু অবহেলিত নয় আমাদের ফ্যামিলি এবং সোসাইটিতেও অবহেলিত৷ তিনি আরও বলেন, আমরা খুবই দুঃখের সাথে দেখি যে সাইকোলজিক্যাল এবং মেন্টাল হেলথের জন্য আমাদের বাজেট খুবই সীমিত৷ রিসোর্স পার্সন জোবেদা খাতুন বলেন, আমরা দেখেছি করোনার কারণে শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি মানসিক বিপর্যের মধ্যে পড়ে গেছে৷ এই বিপর্যয়ের মাত্রাটা এরকম যে, অনেকে পড়াশোনা করতে পারছেনা, ঘুম হচ্ছেনা, পরীক্ষায় বসতে পারছে না৷ সুইসাইড করার একটা প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে৷ যদিও আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকবেশি সহনশীল৷ কিভাবে আমরা মানসিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারি সেই প্রসেসটাই আমরা দিনভর শিখব৷

 আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ ছাত্র প্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আপনারা আজ যে জ্ঞান অর্জন করবেন, সেটা আপনার বিভাগে ফিরে গিয়ে বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন৷ কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা আছে৷ এই অডিটোরিয়ামটি যদি আরও বড় হতো তাহলে আমরা একসাথে সবাইকে আনতে পারতাম৷ আজ আমরা যাদেরকে ডাকতে পারিনি আগামীতে তাদের নিয়ে এ জাতীয় একটি প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করব৷ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড মোঃ গোলাম মোর্তাজা তালুকদার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা।

 উল্লেখ্য, এ কর্মশালাটি গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷ এতে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে৷ নৈতিক স্খলনে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজনের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলে বির্তকের সৃষ্টি হয়। পরে আয়োজকরা কর্মশালাটি স্থগিত করে।