শিশুদের মনোযোগ ঘাটতি বা হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার কি?

শিশুদের মনোযোগ ঘাটতি বা হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার কি?

প্রতীকী ছবি

মনোযোগ ঘাটতি এবং চঞ্চলতা বা হাইপারঅ্যাকটিভিটিকে বলা হয় ‘এডিএইচডি’। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের অবস্থা। এই রোগ লক্ষ লক্ষ শিশুকে প্রভাবিত করে এবং  প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারে। এডিএইচডি-এর সমস্যার মধ্যে আছে সংমিশ্রণ যেমন মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা, হাইপারঅ্যাকটিভিটি এবং আবেগপ্রবণ আচরণ।

এ চাড়ওে এডিএইচডি-এ আক্রান্ত শিশুদের আত্মসম্মানবোধ কম থাকা,সম্পর্ক স্থাপনে সমস্যা এবং স্কুলে খারাপ ফরাফলের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। বয়সের সাথে লক্ষণগুলি হ্রাস পায় কিছু ক্ষেত্রে। আবার এডিএইচডি লক্ষণগুলো পুরোপুরি চলে যায় না। তবে চাইলে ভালো থাকার কৌশল শিখতে পারে শিশুরা।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা এই অবস্থার একটি বড় পার্থক্য করতে পারে।

 

**মনোযোগ দিতে অসুবিধা

অমনোযোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি হতে পারে,

> সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মনোযোগ এবং সহজে বিভ্রান্ত হওয়া

> অসতর্কভাবে ভুল করা। উদাহরণস্বরূপ, স্কুলের কাজ
ভুলে যাওয়া বা প্রায়ই জিনিস হারানো।

> কঠিন বা সময়সাপেক্ষ কাজগুলোতে লেগে থাকতে অসুবিধা হওয়া।

> নির্দেশ শুনতে বা পালন করতে সমস্যা হওয়া।

> ক্রমাগত কার্যকলাপ বা কাজের পরিবর্তন।

> কাজগুলো শেষ করতে সমস্যা হওয়া।

 

** অতিসক্রিয়তা বা চঞ্চলতা এবং আবেগপ্রবণ

এটি শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এডিএইচডি-এর আরেকটি মূল লক্ষণ। এরও কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে।

> বিশেষ করে শান্ত বা নিরিবিলি পরিবেশে স্থির বসে থাকতে অসুবিধা বা ক্রমাগত    অস্থিরতা প্রকাশ করা।

> কাজে মনোনিবেশ করতে অক্ষমতা।

>অনেক ঘোরাঘুরি এবং অবিরাম কথা বলা।

> অপেক্ষা করতে না পারা।

> চিন্তা না করে অভিনয় করা।

> কথোপকথনে অসুবিধা।

> বিপদের সামান্য বা কোনো রকম  অনুভূতি না হওয়া।

 

এই উপসর্গগুলো একটি শিশুর জীবনে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষ করে  স্কুলে। তারা অন্যদের সাথে মেলামেশা করা বা কথা বলায় অসুবিধা হওয়া। এডিএইচডি-এর  প্রাথমিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অমনোযোগী হয়ে যাওয়া এবং অতিসক্রিয় বা ইম্পলসিভ আচরণ। এডিএইচডি-এর  উপসর্গগুলি ১২ বছর বয়সের আগে শুরু হয় এবং কিছু শিশুদের মধ্যে ৩ বছর বয়সে লক্ষণীয়। এডিএইচডি-এর উপসর্গগুলো হালকা, মাঝারি বা গুরুতর হতে পারে এবং সেগুলি প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যাওয়া পর্যন্ত চলতে পারে। নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে আচরণ ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ছেলেরা বেশি হাইপারঅ্যাকটিভ হতে পারে এবং মেয়েরা শান্তভাব বা অমনোযোগী হতে পারে।

সূত্র : মায়োক্লিনিক।