ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আপন স্বকীয়তায় ভাস্বর হোক ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এটাই প্রত্যাশা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আপন স্বকীয়তায় ভাস্বর হোক  ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে  এটাই প্রত্যাশা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ভূমিকা

স্বাধীনতার পর প্রথম এবং একুনে ৭ম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠানের নাম নয়; এটি মুসলমানদের এক করুন জীবনালেখ্য। এদশের মুসলমানদের রক্ত ঝরা সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় এ বিশ^বিদ্যালয়। বহু মিটিং মিছিল কমিশন গঠন ইত্যাদির পর আলোর মুখ দেখে এ বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য ১৯১২ সালে আবাসিক মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবীর পর থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত মওলানা আকরম খাঁ কমিশন সহ গঠিত  প্রায় সকল কমিশনেই একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ ছিল। কি আদলে এবং কি লক্ষ্য উদ্দেশ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে সে বিষয়টিও পাঁচ পাঁচটি কমিশনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয়  দেশে অর্ধশতাধিক সরকারী বিশ^বিদ্যালয়ে নানা বিষয় থাকার পরও ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে ইসলামী সাবজেক্ট না খোলে এরচে’ গুরুত্বহীন সাবজেক্ট খোলে আজ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে অনুষদ সংখ্যা ২ থেকে ৮টি এবং সাবজেক্ট  সংখ্যা ৪ থেকে  ৩৬ টি রুপান্তরীত হয়েছে। আর  ইসলামী সাবজেক্ট শুরুতে যে ৩টি ছিল প্রতিষ্ঠার আজ ৪৩ বছর পর আজও একই অবস্থায় বিদ্যমান। তাই ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়কে তা স্বকীয়তায় ফিরিয়ে আনতে অন্যান্য অনুষদের বিভাগসমূহে প্রস্তাবিত বিভিন্ন ইসলামী সাবজেক্ট এবং আরো ১১টি অনুষদের প্রস্তাব করছি।

 প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: বর্তমান বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় পাঁচ ডজন। উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি একটি ইতিবাচক দিক। স্বাধীনতার পর প্রথম এবং একুনে ৭ম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠানের নাম নয়; এটি মুসলমানদের এক করুন জীবনালেখ্য। এর জন্য অনেক সংগ্রাম রক্ত ঝরেছে এদশের মুসলমানদের। বহু মিটিং মিছিল কমিশন গঠন ইত্যাদির পর প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য ১৯১২ সালে আবাসিক মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবীর পর থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত মওলানা আকরম খাঁ কমিশন সহ গঠিত  প্রায় সকল কমিশনেই একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ ছিল।

বাংলাদেশ সরকার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার  ঘোষণা  দেয়। ১৯৭৭ সালের ২১ জানুয়ারি (ঝওঠ/৫-৮৮/৭৬/৬৪ঊফহ) পত্র অনুযায়ী  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার  সর্বশেষ কমিশন গঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এম.এ. বারীর সভাপতিত্বে। খুব শীঘ্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার  জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিকল্পনা কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

স্থানান্তর: এসব উদ্দেশ্য সামনে রেখে ১৯৭৯ সালের ২২ অক্টোবর কুষ্টিয়া শহর  থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি  জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮০ সালের ১৮ জুলাই সরকারি আদেশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর  থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের  বোর্ড বাজারে  স্থানান্তর  করা  হয়। ১৯৯০ সালের ২৪  ফেরুয়ারি এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর  থেকে কুষ্টিয়া শহরে পুনরায় স্থানান্তর করা  হয়। ১ নভেম্বর ১৯৯২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাস শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নিয়ে আসা  হয়। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে থিত্তলজি এন্ড  ইসলামিক  স্টাডিজ  অনুষদের  আল-কুরআন  ওয়া  উলূমুল  কুরআন  এবং  উলূমুত  তাত্তহীদ  ওয়াদ  দা’ওয়াহ  বিভাগে  এবং  মানবিক  ও  সমাজবিজ্ঞান  অনুষদের  হিসাব বিজ্ঞান  ও  ব্যবস্থাপনা  বিভাগে  তিনশত  ছাত্র  নিয়ে এ ৪টি বিভাগের যাত্রা শুরু হয়।

বৈশিষ্ট্যাবলী: ড.এম.এ.বারী কমিশন ১৯৭৭ সালের ২০ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে নি¤েœর উদ্দেশ্যাবলীর সুপারিশ করে। ১. কলা ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় সাধন ২. ইসলামী শিক্ষা এবং মানবিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে এমন ছাত্র তৈরি করা যারা কর্মজীবনে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারবেন এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল জনগণের আশা আকাঙ্খা পুরণ করতে সক্ষম হবেন। ৩. ইসলামী শিক্ষা প্রবর্তনের মাধ্যমে তথাকথিত অনৈসলামিক ও ইসলামী শিক্ষার বিরোধ অবসান ৪. মুসলিম মনীষী সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা পরিবেশ ইসলামী শিক্ষার পুনর্জাগরণ ৫. ইসলামী শিক্ষার বিভিন্ন শাখায় উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থা করণ ৬. দ্বিমুখী শিক্ষা পদ্ধতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে মুসলিম সমাজে ঐক্য স্থাপন এবং ৭. নতুন আঙ্গিকে মাদরাসা শিক্ষা যুগোপযোগী করে এর উন্নতি সাধন।

বর্তমান: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অনুষদ ৮ টি। বিভাগ ৩৬টি। হল ৮টি(ছাত্রী হল ৩টি) ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৭,৬৮৯। এম ফিল গবেষণারত ২১৯ জন। পিএইচডি গবেষণারত ২৯০ জন। এমফিল ডিগ্রীপ্রাপ্ত ৭২৪ জন। পিএইচডি ডিগ্রীপ্রাপ্ত ৫৫৩ জন। ২৫ জন মহিলা শিক্ষকসহ  মোট শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ৩৯০। কর্মকর্তা ৪৬৮ জন। কর্মচারীর সংখ্যা ৩২৫ জন। বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম প্রোভিসি অধ্যাপক ড.  মোঃ মাহবুবুর রহমান  ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

প্রস্তাবনা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক ৭টি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে  প্রথম দুটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করলেই বুঝা যাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার স্ব অবস্থানে আছে না ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়েছে? ইসলামী শিক্ষা নামে  ননক্রেডিট ১টি কোর্স নামকা ওয়াস্তে প্রতি বিভাগে থাকলেও অধিকাংশ বিভাগে স্ব স্ব বিভাগের সাধারণ শিক্ষকদিয়েই তা পড়ানো হয়ে থাকে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মূল ধারায় পরিচালিত করতে অন্তত: দুটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদানে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহলের কাছে  প্রস্তাব রাখতে চাই।

এক. কলা ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় সাধন করতে হলে কলা ও বিজ্ঞানের সাথে  ইসলামী শিক্ষাকে সমান্তরালে রাখতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হল ৩৬ টি বিভাগের মধ্যে মাত্র ৪টি ইসলামী শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আর বাকী ৩২টিই কলা ও বিজ্ঞান বিষয়ক। ৩২টিই কলা ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিভাগের কোনটিতেই ইসলামী শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট মৌলিক/ মেজর কোন বিষয় নেই। অথচ এ বিশ^বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টগুলোতে অন্তত: ২/৪ টি করে নি¤েœর কোর্সগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেত।  যেমন-

১.কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল-  ইসলামে অর্থ ব্যবস্থা,  ইসলামে রাষ্ট্র ব্যবস্থা,  ইসলামে সমাজ ব্যবস্থা, আল-কুরআনে প্রতœতত্ত্ব,  আল-কুরআনে নীতি দর্শন,  আল-কুরআনে ইতিহাস দর্শন, আল-কুরআনে ব্যক্তি দর্শন,  আল-কুরআনে পরিবার ও পারিবারিক দর্শন, আল-কুরআনে সমাজ দর্শন, আল-কুরআনে রাষ্ট্র দর্শন,  আল-কুরআনে পররাষ্ট্র নীতি, আল-কুরআনে সমর দর্শন, আল-কুরআনে শিক্ষা দর্শন, আল-কুরআনে গবেষণা পদ্ধতি বিজ্ঞান ইত্যাদি। 

২.বাণিজ্য অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল-   ইসলামে বণ্টন ব্যবস্থা, ইসলামে ব্যংকিং ব্যবস্থা, ইসলামে কর ও ট্যাক্স ব্যবস্থা, ইসলামে  ব্যবসা-বাণিজ্য, আল-কুরআনে বাণিজ্যনীতি, আল-কুরআনে ধনবিজ্ঞান ইত্যাদি।  

৩.আইন অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল-   ইসলামে ভূমি ব্যবস্থা, ইসলামে উত্তরাধিকার আইন ইত্যাদি। 

৪. বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে প্রস্তাবিত কোর্সগুলো হল-  আল-কুরআনে প্রাণী বিজ্ঞান, আল-কুরআনে কীটপতঙ্গ, আল-কুরআনে  খেচর, আল-কুরআনে ভূ-বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান, আল-কুরআনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে মহাকাশ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে সৌরবিজ্ঞান,  আল-কুরআনে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে পরিবেশ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে আবহাওয়া বিজ্ঞান, আল-কুরআনে চিকিৎসা বিজ্ঞান, আল-কুরআনে কম্পিউটার বিজ্ঞান, আল-কুরআনে সংখ্যা তত্ত্ব, আল-কুরআনে সময় তত্ত্ব, আল-কুরআনে পুষ্টি বিজ্ঞান, আল-কুরআনে খাদ্য বিজ্ঞান,  আল-কুরআনে প্রযুক্তি বিজ্ঞান, আল-কুরআনে পদার্থ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে জলযান, আল-কুরআনে স্থলযান, আল-কুরআনে আকাশযান, আল-কুরআনে জড় বিজ্ঞান, আল-কুরআনে প্রকৌশল বিজ্ঞান, আল-কুরআনে চর্মপ্রযুক্তি, আল-কুরআনে স্থাপত্য বিদ্যা, আল-কুরআনে খণিজ বিজ্ঞান, আল-কুরআনে কৃষি  বিজ্ঞান, আল-কুরআনে হাজবেন্ডারী,  আল-কুরআনে সামুদ্রিক বিজ্ঞান, আল-কুরআনে মৎস বিজ্ঞান, আল-কুরআনে সৃষ্টিতত্ত্ব, আল-কুরআনে শরীর তত্ত্ব, আল-কুরআনে ভ্রƒণ তত্ত্ব, আল-কুরআনে মনোবিজ্ঞান,  আল-কুরআনে নৃবিজ্ঞান  ইত্যাদি।

 ফলে সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টের শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলে ইসলাম এবং আল-কুরআনে বিজ্ঞান ও দর্শন সম্পর্কে সম্যক অবহিত হয়ে আল-কুরআনের আলোকে নিজেকে  যেমন ঢেলে সাজাতে পারবেন তেমনি পরিবার সমাজ রাষ্ট্রকেও সুসংহত করতে পারবেন। এতে অন্তত: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৈশিষ্ট্য “ইসলামী শিক্ষা এবং মানবিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে এমন ছাত্র তৈরি করা যারা কর্মজীবনে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারবেন এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল জনগণের আশা আকাঙ্খা পুরণ করতে সক্ষম হবেন” বিষয়টি অনায়াসেই বাস্তবায়ন হবে।

দুই.  বিজ্ঞানের একটি অনুষদকে তিনটি অনুষদের রূপান্তরীত করে এগুলোর অধীনে ১২ টি বিভাগ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে থিওলজী অনুষদকে  অনায়াসেই নি¤েœর শিরোণামে ১টি অনুষদে রূপান্তরীত করা  যেতে পারে। যা মদীনাসহ বিশে^র কয়েকটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরণের অনুষদ রয়েছে। প্রস্তাবিত ১১ টি অনুষদ হল-

১. কুল্লিয়াতুল কুরআন বা আল-কুরআন অনুষদ 

২. কুল্লিয়াতু উলূমিল কুরআন বা কুরআনিক সাইন্স অনুষদ 

৩. কুল্লিয়াতু উলূম ফিল কুরআন বা সাইন্স ইন দ্যা হলি কুরআন অনুষদ 

৪. কুল্লিয়াতু বালাগাতিল কুরআন বা আল-কুরআনে অলংকারশাস্ত্র অনুষদ 

৫. কুল্লিয়াতু ফালসাফাতিল কুরআন বা কুরআনিক দর্শন অনুষদ 

৬.তাফসীর অনুষদ  কুল্লিয়াতুত তাফসীর বা তাফসীর অনুষদ 

৭. কুল্লিয়াতু কিরাআতিল কুরআন  বা মেথডোলজি অব কুরআন রিসাইটিং অনুষদ

৮. কুল্লিয়াতুল হাদীস বা আল-হাদীস অনুষদ

৯. কুল্লিয়াতুল অসুলিল হাদীস বা আল-হাদীসের মূলনীতি অনুষদ

১০. কুল্লিয়াতুত দাওয়াহ বা আদ দাওয়াহ অনুষদ

১১. কুল্লিয়াতু মুকারানাতিল আদইয়ান বা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ।

 

দেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদ নামে একাধিক অনুষদ থাকার পরেও ২৭টি আলাদা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  প্রতিষ্ঠিত হলেও দেশের ৯০% মুসলিম রাষ্ট্রে একমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাতেও আবার জন্ম থেকে অদ্যাবধি ৩টি বিভাগ বিষয়টি এদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির জন্য সত্যিই পরিতাপের বিষয়। তাই অনাতি বিলম্বে এসব অনুষদ খোলে এগুলোর অধীনে ৫/৬ টি করে  বিভাগ খোলা যেতে পারে। অথবা এসব অনুষদ নিয়ে  ঢাকায় আরেকটি পরিপূর্ণ আবাসিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা  করা যেতে পারে। তবে এটা সত্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ  না করার কারণেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথিষ্ঠা হয়।  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  সধারায়  না চলার কারণে আরবী বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল স্বকীয়তা হারিয়ে ফেললে আমার প্রস্তাবিত পরিপূর্ণ আরেকটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে না এমনটি বলা যায় না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জাতির প্রত্যাশা আপাততঃ এবিশ্ববিদ্যালয়টি  মূল ধারায় পরিচালিত হোক হোক আপন স্বকীয়তায় ভাস্বর ।

প্রফেসর ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী

আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়