ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশারির ভিতর ফুটবল!

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশারির ভিতর ফুটবল!

সংগৃহীত

কেবল কাতার নয়, গোটা বিশ্বই এখন ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত। অলিতে-গলিতে, বড় রাস্তার মোড়ে, বাড়ির ছাদে, গাড়ির বনেটে প্রিয় দলের পতাকা টানিয়েছেন, কাউকে আবার প্রিয় দলের জার্সি গায়ে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যাচ্ছে। পাড়ার ক্লাবগুলোতেও ফুটবল উৎসব। কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই শহরের পথশিশুদেরও খেলতে ইচ্ছা করে, ইচ্ছা করে মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো  নেইমারদের হয়ে গলা ফাটাতে। কিন্তু কোথাও যেন সেই ভরসাতে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ডেঙ্গু’। আসলে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে তাতে রীতিমত আতঙ্কিত সবাই। ফলে ফুটবল খেলতে যাওয়ার আগে অনেক বাবা-মায়েরাই দু’বার ভাবছেন যে, খোলা মাঠে ফুটবল খেলতে পাঠিয়ে তাদের ছেলেমেয়েরা যদি ডেঙ্গুকে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসেন!

তাছাড়া ফুটবল যেমন ইনডোর গেম নয় তেমনি এমন নিশ্চয়তাও কেউই দিতে পারে না যে ফুটবল মাঠে একটি মশাও প্রবেশ করবে না বা ডেঙ্গুর মশা গায়ে হুল ফোটাবে না। কিন্তু এমনটা যদি হয়! ফুটবল খেলাও হবে অথচ মশাও নিরাপত্তার বেড়াজাল ছিন্ন করে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না! এমনটাই ভেবেছেন এক চিকিৎসক। ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে মশারি। আর খেলার জন্য ফুটবল। দুটোই বিনামূল্যে দিচ্ছেন ওই চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক চান ওরা ফুটবল খেলুক। কিন্তু মশার কামড় যেন না খায়। খেলতে গিয়ে ডেঙ্গু যাতে না হয়, তাই একটা ছোট মাঠের সমান আয়তনের মশারি অর্ডার করেন চিকিৎসক অজয় মিস্ত্রি। সেই সাথে দিলেন নানা দেশের জার্সি, পতাকা। আর ফুটবল। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুরে হেস্টিং ক্রসিং ব্রিজের নিচে অনুষ্ঠিত হলো এক অনুষ্ঠান।

১৯ ফুট বাই ২০ ফুটের বিশাল বড় মশারি টানিয়ে তার ভেতর ফুটবল খেলল পথশিশুরা। চিকিৎসক জানান, বিগত দু’বছর করোনার কারণে তারা বাড়ির বাইরে খেলতে বার হয়নি। ফলে বাচ্চারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশ্বকাপের আনন্দে এই বাচ্চাগুলো খেলতে চায়। অন্যদিকে, ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি। স্বাভাবিকভাবে আমি চাই খেলতে গিয়ে যাতে কেউ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত না হয়। সব কিছু দেখে কেউ কেউ ঠাট্টা করে বলছেন, ভাগ্যিস কলকাতা শহরে বিশ্বকাপের আসর বসেনি! নাহলে মেসি, রোনাতো, নেইমারদেরও ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচাতে মশারি খাটিয়ে ফুটবল খেলার আয়োজন করতে হতো ফিফাকে।