তালা ভাঙার পর সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখিনি

তালা ভাঙার পর সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখিনি

ফাইল ছবি

যতদিন যাচ্ছে ততই ঘনীভূত হচ্ছে সুশান্তের মৃত্যূর রহস্য । এবার এমনই একটি রহস্যজনক তথ্য দিল সুশান্তেনর ঘরের লক ভেঙ্গে ছিল যে চাবিওয়লা । ডিজিটাল লক ছিল। তাই সুশান্তের ঘরের তালা ভাঙার জন্য বাইরে থেকে তালা খোলার লোক ডাকা হয়েছিল সেদিন একাধিক বার জেরায় এই কথাই জানিয়েছিলেন সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং বাড়ির বাকি সদস্যরা।

 তালা খোলার জন্য যে ব্যক্তিকে ডাকা হয়েছিল সেই মহম্মদ রফি শেখ কী বলছেন? ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যা বললেন, তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো।

ওই ব্যক্তি জানান, রবিবার দুপুরে তাঁর কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন করে সুশান্তের বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়। রফি শেখ যদিও জানতেন না তিনি সুশান্তের বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি এসে দেখেন, বেডরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কম্পিউটারাইজড লক দেখে তিনি একটু বেশিই টাকা চান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা তাঁকে বলেন, টাকাটা কোনও ব্যাপার নয়। আগে দরজা খুলুন। ছুরি এবং হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙেন সেই ব্যক্তি।

তারপরেই কি সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ চোখে পড়ে তাঁর? উত্তরে ওই ব্যক্তির জবাব: “ওঁরা আমায় কিছু দেখতে দেননি। আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।’’ওঁরা কারা? তাঁর উত্তর, “তিন-চার জন ছিলেন।

আমি তাঁদের নাম জানিনা।’’ওই তিন-চার জন ব্যক্তির মধ্যে কি পুলিশও ছিল? “না, কোনও পুলিশ ছিল না”, জানান ওই চাবিওয়ালা। পুলিশের অনুপস্থিতিতে কী করে ও কেন তালা ভাঙা হল সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ওই ব্যক্তির দাবি, যে কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন সুশান্ত ভিতরে সাড়াশব্দ করছেন না দেখেও তাঁদের মধ্যে চিন্তার বিন্দুমাত্র লেশ ছিল না। তালা ভেঙেই ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মহম্মদ শেখ।

যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই আবারও ফিরে আসতে হয় তাঁকে। এ বার মুম্বই পুলিশ ডেকে পাঠায় তাঁকে। তাঁর দাবি, তখনই তিনি জানতে পারেন, যে বাড়ির তালা তিনি ভেঙে এলেন, সেটি অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাড়ি। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলটি প্রয়োজনে ডেকে পাঠাতে পারে মহম্মদ রফি শেখকে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা