রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন শেষে পাকিস্তান ১৫৮/৪

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন শেষে পাকিস্তান ১৫৮/৪

ছবিঃ সংগৃহিত।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন শেষে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে  উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছে। 

বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু হয়েছিল সাড়ে চার ঘণ্টা দেরিতে। শুরুতে ভেজা উইকেটের সুবিধা নেওয়া যাবে বলে টসে জিতে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। দুই ওপেনিং বোলার হতাশও করেননি। হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম মিলে প্রথম নয় ওভারের মধ্যেই তুলে নেন পাকিস্তানের ৩ উইকেট। হাসান ফেরান আবদুল্লাহ শফিককে, শরীফুলের শিকার শান মাসুদ ও বাবর আজম।

১৬ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তান সেখান থেকে ঘুরে  দাঁড়ায় সাইম আইয়ুব–সৌদ শাকিলের জুটিতে। চতুর্থ উইকেটে এ দুজন যোগ করেন ৯৮ রান। ৫৬ রান করা সাইমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। দিনের বাকি অংশে অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শাকিল অপরাজিত ৫৭ রানে, রিজওয়ান ২৪ রানে

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ও হাসান। হাত ঘোরালেও উইকেটহীন নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান।

সব মিলিয়ে প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৪১ ওভার। পাকিস্তান রান তুলেছে ৩.৮৫ গড়ে।

দিনের শেষ বেলায় সাকিব আল হাসানের বল তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে প্রথম ওভার ভালো যায়নি। তাঁর ওভার থেকে ৬ বলে দুটি চারসহ ১০ রান তুলে নিয়েছেন রিজওয়ান।

পাকিস্তানের ৩৯ ওভার শেষে  উইকেটে ১৪৯ রান।

অবশেষে ভাঙল সাইম আইয়ুব–সৌদ শাকিল জুটি। দিনের শেষ সেশনের পানি পানের বিরতির পর প্রথম বলেই আউট সাইম। থেমেছে ৯৮ রানের জুটি।

হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ হয়েছেন সাইম। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ৯৮ বলে ৫৬ রান করেছেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়।

পাকিস্তানের নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। সঙ্গে সৌদ শাকিল অপরাজিত ৪৬ রানে।

৩২ ওভারে পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ১১৯।

শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেললেও স্বস্তি নিয়েই দ্বিতীয় সেশনের বিরতিতে গেছে পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে সাড়ে চার ঘণ্টা পর শুরু হওয়া খেলায় দ্বিতীয় সেশনে হয়েছে ২১ ওভারের খেলা। পাকিস্তানের রান উইকেটে ৮১

ওপেনার সাইম অইয়ুব ৬৮ বলে ৪২ এবং পাঁচে নামা সৌদ শাকিল ৩২ বলে ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এ দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৬৫ রান।

সাইম–শাকিলের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আগে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের বলে জাকির হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেছেন আবদুল্লাহ শফিক (১৪ বলে ২)। এরপর শরীফুল ইসলাম জোড়া আঘাতে ফেরান শান মাসুদ (১১ বলে ৬) ও বাবর আজমকে (২ বলে ০)। দুজনই ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে।

১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান সাইম আইয়ুব–সৌদ শাকিলের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই বাঁহাতির ব্যাটে চড়ে এরই মধ্যে দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ পার করেছে পাকিস্তান। 

১৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৩ উইকেটে ৫৭। সাইম ৩২ এবং শাকিল ১৪ রানে ব্যাট করছেন।

শুরুটা করেছিলেন হাসান মাহমুদ। জাকির হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছিলেন আবদুল্লাহ শফিককে (২)। এরপরই জোড়া আঘাত শরীফুল ইসলামের।

পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদের (৬) পর তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম (০)—দুজনই আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের রানছির ৩ উইকেটে ২৩।

ফিল্ডিং এ বাংলাদেশ

রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়নি। বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় টস করেছে দুই দল

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামবে নাজমুল হোসেনের দল। পাকিস্তান দুই দিন আগে এই ম্যাচের একাদশ ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের একাদশ জানা গেল টসের পর।

চোটে পড়া ওপেনার মাহমুদুল হাসানের জায়গায় ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। বাঁহাতি এই ওপেনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের মার্চে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। বোলারদের মধ্যে বাদ পড়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ। তাঁর জায়গায় খেলছেন আরেক পেসার নাহিদ রানা।

গত মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আঙুলে চোট পাওয়ায় খেলতে পারেননি অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এ ম্যাচ দিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন তিনি। তিন পেসার খেলাচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান দলে রয়েছেন চারজন পেসার।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।

পাকিস্তান একাদশ: আবদুল্লাহ শফিক, সাইম আইয়ুব, শান মাসুদ (অধিনায়ক), বাবর আজম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলী আগা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আলী ও খুররম শেহজাদ।