ভরতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কংগ্রেসের গণস্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন যেতে বাধা দিল পুলিশ। এসময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
কৃষক
কৃষক বিক্ষোভের কারণে গরম রয়েছে গোটা ভারত। ফলে স্বভাবতই অস্বস্তিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এবার মুখ বাঁচাতে পাল্টা চাল বিজেপির।
ভারতে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুরু বিক্ষোভ ২২ দিন পার হয়ে গেছে। এর মাঝেই নানা জল বয়ে গেছে নয়াদিল্লির রাজপথে দিয়ে। কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশও গর্জে উঠেছে মানুষ।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে এসে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন কৃষকের। এবার একেবারে অন্য ঘটনা।
সরকার যদি বলতে পারে তারা কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে না, তা হলে আমরাও বলছি, সরকারকে এই আইন প্রত্যাহার করিয়েই ছাড়ব। আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনই বার্তা দিলেন ভারতের কৃষক নেতারা।
ভারতে ফসল উৎপাদন ও বিপনে ব্যাপারে নতুন তিন আইনের বিরুদ্ধে হাজার হাজার ভারতীয়্ কৃষক আন্দোলন করছে।
ভারতে দিল্লির কৃষক বিক্ষোভ দুই সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ভারতেরে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে ৬ দফা বৈঠক হলেও কোনোও সমাধানে আসতে পারেনি। বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলি।
ভারতের রাজধানী দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ। কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানীর রাজপথ। তবে সমাধানসূত্র মিলছে না। শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের পঞ্চম দফা বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান হয় নি। পরবর্তী বৈঠক ৯ই ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর করা মন্তব্যের পরই ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় নড়েচড়ে বসে। ভারতে কানাডার হামকমিশনারকে তলব করে দেশটি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। তবে এত কিছুর পরেও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ভারত সরকারের সাথে দু'দফায় বৈঠকে বসেও কোনো রফাসূত্র পাননি কৃষকরা। শনিবার আবার বৈঠকে বসার কথা রয়েছে দু'পক্ষের। কিন্তু দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের এখন একটাই দাবি, প্রত্যাহার করতে হবে কৃষি আইন