ইবিতে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

ইবিতে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি : সংবাদাতা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তার কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে এ সংঘর্ষ হয়। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উভয় গ্রুপের ২০
নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব তাদের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেট এলাকা থেকে মিছিল
নিয়ে সড়ক হয়ে প্রধান টিকের দিকে এগােতে থাকে। এসময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করা পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ফটকে আসলে উভয় গ্রুপের মুখােমুখি সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি,
হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এসময়  নেতাকর্মীরা তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় প্রধান ফটক এলাকা। সভাপতি ও সম্পাদকসহ উভয় গ্রুপের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কয়েকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষে পদবঞ্চিতদের নেতাকর্মীদের সামনে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দেয়। ফলে ক্যাম্পাস থেকে দুপুরের শিডিউলের কোনো বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। সেইসাথে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পড়ে বেলা আড়াইটায় অবরোধ তুলে নিলেও ফটক অবরোধ করে রাখে নেতাকর্মীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পদবঞ্চিতরা ক্যাম্পাসের ফটক আটকে রেখে অবস্থান অব্যহত রয়েছে।

এর আগে সভাপতি-সম্পাদকের ক্যাম্পাসে আসার সংবাদ পেয়ে সকাল থেকে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেয় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে নেতাদেরকে গ্রহন করতে ও নিরাপত্তা দিতে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় কয়েকজন নেতাকর্মী। বেলা ১১টার দিকে পদবঞ্চিত গ্রুপ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এতে তিন জন আহত হয় ও বাকিরা পালিয়ে যায়।

উল্লেখ, গত ১৪ এপ্রিল পলাশ-রাকিবকে সভাপতি সম্পাদক করে কমিটি দেয় কেন্দ্র। দেড়মাস না যেতেই ৪০ লাখ টাকায় কমিটিতে আসা নিয়ে সম্পাদক রাকিবের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এরপর টাকা দিয়ে কমিটিতে আসা সহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্যাম্পাসে সভাপতি ও সম্পাদককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে পদবঞ্চিত গ্রুপ। এরপর বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে আসলে কর্মীদের ধাওয়ায় চার দফায় ক্যাম্পাস ছাড়ে সম্পাদক রাকিব।