২০২১ সালে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল উদ্বোধন

২০২১ সালে পদ্মা সেতু  ও  মেট্রোরেল উদ্বোধন

ফাইল ফটো

২০২১ সালের জুনে পদ্মা সেতু ও ডিসেম্বরে মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ২০২১ সালের জুনে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি প্যাকেজের মধ্যে মাওয়া সংযোগ সড়ক, জাজিরা সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতু ও নদীশাসন কাজের ভৌত অগ্রগতি যথাক্রমে ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৬৬ শতাংশ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। পদ্মা সেতুর ৪১টি স্টিল ট্রাসের (স্প্যান) মধ্যে ২০টি ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ২১টি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে এবং পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৬ স্টেশনবিশিষ্ট উভয় দিকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম আধুনিক সময়সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎচালিত এমআরটি নির্মাণের লক্ষ্যে এমআরটি-৬ উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ০২ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৬৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।

মন্ত্রী জানান, উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-১ এর কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এমআরটি লাইন-১ দুটি অংশে বিভক্ত। এর একটি হচ্ছে ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্ডারগ্রাউন্ড বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) এবং ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো) বিমানবন্দর রুটেই বাংলাদেশে প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে।