বদহজম থেকে বাঁচার উপায়

বদহজম থেকে বাঁচার  উপায়

ছবি: সংগৃহীত

কঠোর পরিশ্রম কমে যাওয়ায ফলে বদহজমের সমস্যা আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ায় ফলে তার সঙ্গে যদি যুক্ত হয় বিয়ের ময়সুম আর জাঙ্ক ফুডের ওভারডোজ়, তা হলেতো আর রক্ষা  নেই! ষাটের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা একটু বেশিই দেখা যায়। তবে জীবনযাপনের ধরন এবং খাওয়াদাওয়ার অভ্যেসে বড়সড় পরিবর্তন আসায়, যুব প্রজন্মের মধ্যেও হজমের গোলযোগ এখন রোজের সমস্যা।

কিন্তু বদহজম হলে কী করবেন? বদহজম হলেই গলা জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর, বুকে-পিঠে ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

আর জীবনকে করে তোলে অতিষ্ট । অনেকের আবার বদহজমের কারণে  ডায়রিয়ার মতো গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়। আবার যাঁরা নিয়মিত বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।

বদহজম  থেকে বাঁচার করণীয়ঃ

পান্তা ভাত: পান্তা ভাত বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের খাবার। তবে এই ঘরোয়া টোটকাটি অনেকেরই জানা নেই। রান্না করা ভাতের দু’চামচ রাতে পানি  ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ওই পানি ও ভাত খেয়ে নিন। এতে হজমের ক্ষমতা বাড়ে।

জোয়ানের পানি: জোয়ান সিদ্ধ করে সেই পানি খেলেও বদহজমের সমস্যা এড়ানো যায়। সকালে উঠেই এটা আগে খেয়ে নেবেন।

জিরের পানি: জিরে সিদ্ধ করা পানিহজম ক্ষমতা বাড়ানোয় উপযোগী। সকালে খালি পেটেও এটা খাওয়া যায়। আবার কিছু খাওয়ার পরেও তা খেতে পারেন।

এলাচ: বদহজম রুখতে এলাচ চিবিয়ে খাওয়া খুবই উপকারী। 

সিদ্ধ আপেলের রস: আপেল সিদ্ধ করে সেই রস খেলেও হজমের ক্ষমতা বাড়ে।

পেঁপে পাতা: ডেঙ্গি প্রতিরোধে এই পথ্য দেওয়া হয়। তবে অনেকেই জানেন না, এই পাতা হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দু’টি পেঁপে পাতা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সিদ্ধ করুন। তার পরে ওই পানি আধ গ্লাস হলে খেয়ে নিন। তাহলে বদহজম কমে যাবে।  

 

বদহজম হলেই যে সব  খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেবেন, তা ঠিক নয়। অসময়ে ভারী খাবার খাওয়ার মতো কু-অভ্যাস বর্জন করলেও হজমের সমস্যা এড়ানো যায়।