ঘুষ যে দেবে সেও অপরাধী: শেখ হাসিনা

ঘুষ যে দেবে সেও অপরাধী: শেখ হাসিনা

ছবি সংগৃহিত।

‌           

দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালি ঘুষ নিলেই সে অপরাধী তা না। যে দেবে সেও অপরাধী, যে নেবে সেও অপরাধী।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন া

 

সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে হুশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদিন খেটে এত কাজ করে এখন যদি এই দুর্নীতির কারণে এটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেটা দুঃখজনক।

সচিবদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নটা যেন দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টা সবাইকে ভালোভাবে দেখতে হবে। আপনাদেরই নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত যারা কাজ করে তাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলে দ্রুত দেশটা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, আমাদের কাজে গতিশীলতা বেড়েছে, দক্ষতা বেড়েছে এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে কাজে একটা আগ্রহ বেড়েছে।

তিনি বলেন, এখন তো ডিজিটাল যুগ। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। কীভাবে কোন কাজটা করলে দেশটা আরও উন্নত হতে পারে বা দ্রুত আমরা কাজটি করে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারব, সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার একটা প্রবণতা হয়ে গেছে, যার যেখানে জমি আছে সেখানেই একটা দালানকোঠা তুলে ফেলছে। অনেক সময় কৃষি জমির উপরও দালানকোঠা হচ্ছে। এই জায়গায় মনে হয় একটা নীতিমালা এবং একটা নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, একটা মাস্টারপ্ল্যান থাকা দরকার।

তিনি বলেন, আমরা কীভাবে আমাদের কৃষিজমিগুলো রক্ষা করব, এটাও আমাদের দেখা উচিত। আমরা পরিবেশ রক্ষা করব, প্রতিবেশ রক্ষা করব, আবার পাশাপাশি উন্নয়নটা যাতে হয়, আর সেই উন্নয়নটা যেন একটু পরিকল্পিতভাবে হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পক্ষে জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা ২০১৯-২০ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তিতে সই করেন। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই চুক্তিপত্র তুলে দেন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালার আলোকে এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে পুরস্কার দেয়া হয়।