চুরি যাওয়া ল্যাপটপ ফিরে পেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র

চুরি যাওয়া ল্যাপটপ ফিরে পেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র

পাবনা প্রতিনিধি

অবশেষে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ ফিরে পেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ রণেশ মৈত্র‘র বাড়ীতে গিয়ে তার হাতে ল্যাপটপ হস্তান্তর করেন। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা পুরবী মৈত্রসহ সাংবাদিকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র জানান, গত ২৫ জুন দিনের বেলা তার বেলতলা রোডের বাসা থেকে এইচপি ব্যান্ডের একটি ল্যাপটপ চুরি হয়। কিন্তু চোররা চার্জার নিতে পারেনি। বিষয়টি তিনি পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ও সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদকে অবহিত এবং ল্যাপটপ উদ্ধারের অনুরোধ করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন, ঐ ল্যাপটপের মধ্যে তার সাংবাদিকতা ও ব্যাক্তিগত জীবনের অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্যাদি রয়েছে।

তখন পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ল্যাপটপ উদ্ধারে সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ ও সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি চৌকশ বাহিনী গঠন করেন। তারা শহরের প্রতিটি কম্পিউটার দোকানে অনুসন্ধান চালান। এ ছাড়া শহরের আশপাশের সন্দেহভাজন অন্তত ৫০ জন ‘চোর’ কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু কোন তথ্য নিতে পারেননি। এর মধ্যে বুধবার শহরের সাধুপাড়ার জুটপট্রির আমিরুল (৩০) নামের একজন মাদকাসক্তকে পুলিশ প্রেসার কুকার চুরির অভিযোগে অন্য স্থান থেকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু ল্যাপটপের ব্যাপারে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। এরই মধ্যে শহরের এআর প্লাজার একটি কম্পিউটারের দোকানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দুই ছেলে এইচপি ব্যান্ডের একটি চার্জার কিনতে দোকানে আসে। ঐ দোকানদার তখন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঐ দুই ছাত্রকে আটক করে তাদের বাড়ী থেকে এইচপি ব্যান্ডের ঐ ল্যাপটপটি উদ্ধার করে।

আটককৃত যুবকরা জানান, তারা শহরের বড় ব্রীজ এলাকার জনৈক তামিমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এই ল্যাপটপটি কিনেছিলেন। পরে পুলিশ তামিমকে আটক করলে সে পুলিশকে জানায়, শহরের সাধুপাড়ার জুটপট্রির আমিররুলের কাছ থেকে সে ৩ হাজার টাকায় ল্যাপটপটি কিনেছিলেন। তবে চোরাই ল্যাপটপ কেনার কারণে তারা অনুুতপ্ত হয়ে রণেশ ত্রের কাছে ক্ষমা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছঅত্র হওয়ায় তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র বলেন, আসলে পুলিশ যে কাজটি করেছে তা সত্যই প্রশংসনীয়।

পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন তাই ল্যাপটপ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাবনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সর্বাতœক সহযোগিতা ছিল বলে এটি সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।