কুষ্টিয়ায় মিশনে নেমেছে নকল বিড়ি কারবারীরা

কুষ্টিয়ায় মিশনে নেমেছে নকল বিড়ি কারবারীরা

আসাদুজ্জামান তাইরত।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গাছেরদিয়াড় এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে চাষী বিড়ি। নকল সোনালী ও আকিজ বিড়ি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় এক চেটিয়া ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে আসাদুজ্জামান তাইরত নামে এক ব্যাক্তি। নকল বিড়ির ব্যবসা করে হয়েছেন জিরো থেকে হিরো। এলাকাবাসীর অভিযোগ নকল বিড়ির কারবার সচল রাখতে হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করতেও পিছিয়ে নেই তিনি। হত্যা মালায় কিছুদিন পলাতক থাকলেও আবার এলাকায় এসে তার অবৈধ ব্যবসা শুরু করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নকল বিড়ি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাশেদুল নামে এক বিড়ি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করে আসাদুজ্জামান তাইরত।  এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান তাইরতকে প্রধান আসমী করে হত্যা মামলা দায়ের করে রাশেদুলের পরিবার। এরপর দীর্ঘদিন বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে থেকেও কৌশলে নকল বিড়ির ব্যাবসা ঠিকই চালিয়ে যান তিনি। বাদী পক্ষকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করছেন।
মামলার পর বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও আবার এলাকায় এসে নকল বিড়ির কারবার শুরু করেছেন তিনি।

জানা যায়, শুধু হত্যা মামলায় নয় নকল বিড়ি তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে ময়মনসিংহ ও কুষ্টিয়াতে তাইরতের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও এলাকায় একাধিক মারামরি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপরও থেমে নেই তার অবৈধ নকল বিড়ির কারবার।

আসাদুজ্জামান তাইরতের নেতৃত্বে একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকেই সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অসাধু উপায়ে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন খুব কম সময়ে।

তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই রাশেদুলের মত অবস্থা করার হুমকি দিয়ে থাকে তাইরত। এই ভয়ে সবাই চুপ করে আছে। 

এলাকাবসীর অভিযোগ, তিনি সবখানে বলে বেড়ান তার টাকার কাছে আইন আদালত সব জিম্মি, টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করার ক্ষমতা আছে তার। সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি একটাই চাষী বিড়ির লাইসেন্স বাতিল ও খুনি তাইরতের দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন জানান এলাকার বাসিন্দারা।