ঈশ্বরদীতে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর দু’টি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ

ঈশ্বরদীতে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর দু’টি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ

ছবি: সংগৃহীত

 পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দু’টি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর, গুলি বর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত  পৌনে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দু’টি নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটায় বলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন।  উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলায় রাত পৌনে ১১টায় এবং সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলেও ওসি জানান। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানাছ, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলায় দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের নির্বাচনের কার্যালয়ে গিয়ে গুলিবর্ষণ করতে শুরু করলে অফিসের আশপাশে সাধারণ লোকজন প্রাণ ভয়ে দিগি¦দিগ ছোটাছুটি করে। তারা অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর ও ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। এই ঘটনার আধা ঘন্টা পর অর্থাৎ সাড়ে ১১টার দিকে মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে একই ধরণের ঘটনা ঘটে।

পাবনা-৪ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। তিনি এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,“ বিএনপি এধরণের কাজের সাথে জড়িত নয়। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে পরাজয় হবে ভেবে তারা নিজেরায় বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাংচুর করে বিএপির উপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শুধু ঈশ্বরদী নয়; তাদের কর্মী বাহিনী নির্বাচনী এলাকা আটঘরিয়া উপজেলার তাদের নিজেদের বাড়িতে ভাংচুর করছে, আর দোষ চাপাচ্ছে বিএপির উপর। পুলিশ বিনা কারণে বিএপির ৬ কর্মীকে আটক করেছে। যাতে আমাদের কর্মীরা নির্বাচনী ওয়ার্ক থেকে দূরে থাকে।” 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন,“ এ ঘটনায় কেও কোন অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনা উদ্ধাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই দু’টি এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।”

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির জানান,“ কে বা কারা এ হামলা গুলোর সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। তারা এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি। তবে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা পাওয়া গেছে।”