চারিত্রিক মাহাত্ম্য, নৈতিক পরিচ্ছন্নতা, চিন্তার বিশুদ্ধতা, আত্মিক পবিত্রতা এবং আল্লার নৈকট্যলাভের অন্যতম মাধ্যম হলো রোজা। সিয়াম সাধনায় মানুষের ঈমান দৃঢ় হয়। তাকওয়া বা খোদাভীতি- যেমন গুনাহর কাজ করে রোজা নষ্ট করা থেকে রোজাদারের অন্তরকে পাহারা দিয়ে থাকে ....
ইসলাম
প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবাই কামনা কর রহমত ও বরকতের রমজান যদি বছরজুড়ে থাকত (তাহলে কতই না ভালো হতো)। এ মাসের শেষে সত্যিকার মুসলিমরা প্রত্যাশা করেন তাদের স্রষ্টা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর উদ্দেশে তাদের ভক্তি ও ত্যাগের মহাপুরস্কার। প্রতিটি মুসলমান তার রোজা কবুল করে নিতে আল্লাহর কাছে আকুল আকুতি জানান।
রোজা রাখা বা সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।
দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে রামাদানের রোযা অন্যতম। প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মুসলমানের উপর প্রতি বছর মাহে রমাদানে এক মাস রোযা পালন করা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরয। আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ “যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে।”
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নাত। আর খেজুর দিয়ে ইফতার করা মোস্তাহাব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, খালি পেটে মিষ্টি বস্তু পাকস্থলীর জন্যে খুবই ফলপ্রসূ।
প্রতি বছর বিশ্বের সর্বত্র এবং সব নৃতাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক পটভূমির মুসলমানরা রমজান মাসের পুরোটাই প্রত্যুষ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে রমজান হলো সর্বাধিক বরকতময় মাস। কিন্তু মাসটিকে রহমতে ধন্য করেছে কোন বিষয়?
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেসব খাবার গ্রহণ করেছেন, তা ছিল সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আজকের বিজ্ঞানের গবেষণা-এষণায় বিমূর্ত হচ্ছে রাসুল (সা.)-এর খাবারগুলোর গুণাগুণ ও মানবদেহের জন্য সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ রোববার রাতে সারা দেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়েছে।
মুফতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের সব কিছুই ধ্বংসশীল, একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া। (সুরা আর রাহমান : ২৬-২৭) আরো ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।’ (আলে ইমরান : ১৮৫) অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে।’ (সুরা আল আরাফ : ২৪, সুরা ইউনুস : ৪৯) কাজেই নবী-রাসুলদেরও মৃত্যুবরণ করা বিধিবদ্ধ।
সারা বিশ্বে এক শ’ কোটির বেশি মুসলমানের জীবনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে আল-কুরআন। এই প্রেক্ষাপটে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : মানবাধিকার সম্পর্কে কুরআন কিছু বলে থাকলে, সেটা কী?
মনস্তাত্ত্বিক জরিপ মোতাবেক বর্তমান যুগে মানুষের একটা বড় অংশই কোনো না কোনো ধরনের বিষন্নতায় আক্রান্ত এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও। তাই আদর্শ মুসলমান হওয়ার সাথে এর সম্পর্ক নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা গুরুত্বপূর্ণ বৈকি।
প্রতিবেশীরা সদাচরণ ও সহৃদয় ব্যবহার পাওয়ার অধিকার রাখেন। এ কথাটা সুপ্রতিষ্ঠিত। সব ধর্মই এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকে। আর এটা বিশ্বের সব সমাজে স্বীকৃত। সম্ভবত অত্যধিক বস্তুবাদী ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী কিছু সমাজ এ দিক দিয়ে ব্যতিক্রম।