গাজার স্কুলে ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২২

গাজার স্কুলে ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২২

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের মধ্য গাজার নুসিরাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ট্যাঙ্কারের গোলাবর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। খবর আল জাজিরার।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৮০ জন আহত হয়েছেন।

এ নিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২২৭ জনে। আর আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৪৬৪ জনে।

উত্তর গাজার সামরিক অবরোধের নবম দিনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। স্থল আক্রমণ এবং ড্রোন হামলায় খাদ্য ও পানির সরবরাহ কম থাকায় কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের বিনয়ামিনায় একটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ ড্রোন হামলায় চার সেনা নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর থেকে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সংঘাতের ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত

ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আজ হামলার বছরপূর্তি হলেও এখনো যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো প্রতিদিন শোনা গেছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও মৃত্যুর খবর। জাতিসংঘের হিসাবমতে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ চার কোটি ২০ লাখ টনেরও বেশি হবে। এসব ধ্বংসস্তূপ ২০০৮ থেকে গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে সঞ্চিত আবর্জনার ১৪ গুণ এবং ২০১৬-১৭ সালে ইরাকের মসুলে হওয়া যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের পাঁচ গুণের বেশি।

এক বছর ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১১ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।