এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু বুধবার

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু বুধবার

ছবি:সংগৃহীত

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করার সুযোগ পাবেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে এই আবেদন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও বোর্ড চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে এ আবেদন শুরু হয়ে চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার পাসের হারও কিছুটা কমেছে। তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের বেশি। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। হয়নি ব্যবহারিক পরীক্ষাও।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা পিছিয়ে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।