তিনদিন ব্যপী লালন তিরোধান দিবসের উদ্বোধন

তিনদিন ব্যপী লালন তিরোধান দিবসের উদ্বোধন

ছবি: সংগৃহীত

“মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি” বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র এই আধ্যাত্মিক বানীর শ্লোগানে ১৩৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে লালন তিরোধান দিবসের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ীতে তিনদিন ব্যপী এ দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শারমিন আখতার এর সভাপতিত্বে মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে লালন একাডেমির মূল মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

এসময় গেষ্ট অব অনার হিসেবে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরসহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহুাম্মদ রশিদুজ্জামান। আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান চলবে আগামী শনিবার রাত পর্যন্ত।

সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় লালন একাডেমি লালনের এই তিরোধান দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রতিবারের মত এবারও আধ্যাত্বিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও তার দর্শন পাওয়াসহ অচেনাকে চেনা, জ্ঞান সঞ্চয়, আত্মার শুদ্ধি ও মুক্তির লক্ষে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত অনুরাগী আর দর্শনার্থীরা আখড়াবাড়িতে এসে জড়ো হয়েছেন। অন্যদিকে, আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে বসেছে বিশাল লালন মেলা। আর এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সিসি টিভি, ওয়াচ টাওয়ারসহ কয়েকস্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন। লালন উৎসব শেষ হবে আগামী শনিবার রাতে।

উল্লেখ্য, ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাতিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা।