বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন: রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত

বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন: রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একইসাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করার সাহস কেউ যেন না দেখায়।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মশাল মিছিল শেষে তিনি এই দাবি জানান। এসময় তদন্ত কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসনাত বলেন, শাহবাগ থানায় করা মামলার ৩৯১ জন আসামিকে গ্রেপ্তারে গড়িমসির প্রমাণ পাওয়া গেলে, তার ফল ভালো হবে না।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মশাল মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এই মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মশাল মিছিল শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নতুন উপদেষ্টাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ছাত্র আন্দোলনের তিন মাস পর কেন ছাত্রদের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভে দাঁড়াতে হবে? সাধারণ ছাত্ররা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের ভরসা ও বিশ্বাস রেখেছেন। শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কঠিন পরিণতি হবে।

এসময় রাষ্ট্রপতিকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে তার পদত্যাগের দাবি জানান হাসনাত। একই সাথে জানান ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি।

হাসনাত বলেন, চুপ্পু সাহেব, এখনও সময় আছে, বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন।

প্রশাসন ও মিডিয়াকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। ছাত্র-জনতা হাসিনার বিকল্প বেছে নিয়েছে, আপনাদের বিকল্প বাছাই করতেও দ্বিধা করবে না। অনেক মিডিয়া, যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বন্দনা করে তার হাতকে শক্তিশালী করেছে, সেই ফ্যাসিস্ট মিডিয়া আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। কলাম লিখতে শুরু করেছে। সেই শ্রুতি-বন্দনা এবং কলাম লেখা ৫ আগস্ট শেষ হয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট মিডিয়ারও পুনর্বাসন হবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজিদা আফিয়া অদিতি, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বক্তব্য দেন