চট্টগ্রাম সিটি মেয়র পদে ডা. শাহাদাতের শপথ ৩ নভেম্বর
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন আগামী ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র পদে শপথ গ্রহণ করবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ তারিখ নির্ধারণ করে।
তবে এর আগে তার শপথ গ্রহণ নিয়ে আদালতের কোনো স্থগিতাদেশ বা আইনগত কোনো জটিলতা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে জানানোর জন্য চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেয়রের সম্পত্তির বিবরণও পাঠাতে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক দুটি পত্র পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত পত্রে বলা হয়, ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চসিকের নির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ নির্বাচিত মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। একইপত্রে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এক্ষেত্রে আদালতের কোনো স্থগিতাদেশ বা আইনগত কোনো জটিলতা আছে কিনা, তা জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অপরপত্রে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৮(১) ও (২) ধারা মোতাবেক নবনির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণের সময় সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত হলফনামা দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ অবস্থায় চসিকের নির্বাচিত মেয়রের সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত হলফনামা ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে দুই কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন পত্র দুটিতে স্বাক্ষর করেন ২২ অক্টোবর। তবে বৃহস্পতিবার তা চসিকে পাঠানো হয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ৩ নভেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন মেয়র। মন্ত্রণালয় থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা পাঠিয়ে দেব।
জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেন। পাশাপাশি ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবকে নির্দেশ দেন।
এর আগে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ডা. শাহাদাত ৯ জনকে বিবাদী করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। এজাহারে তিনি নির্বাচন পরবর্তী ফলাফল সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেট (রেজাউল করিমকে মেয়র ঘোষণা করে) বেআইনি, অবৈধ ও ন্যায় নীতির পরিপন্থী বলে দাবি করেন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ