এবার কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলা
ছবিঃ সংগৃহীত।
কানাডায় টরন্টোর কাছে এবার এক হিন্দু মন্দির ও সেখানে উপস্থিত ভক্তদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমবার (৪ নভেম্বর) মন্দিরে সহিংসতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ধর্ম পালনের অধিকার ‘স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে’ রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ব্র্যাম্পটনের ওই হিন্দু সভা মন্দিরে সংঘর্ষের পর ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য কিছু নেতারা শিখ কর্মীদের দোষারোপ করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু পুরুষ মন্দিরের গেট ভেঙে ভক্তদের ওপর হামলা চালায়।
পিল আঞ্চলিক পুলিশের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশও এই সহিংসতার জন্য কারও ওপর দোষারোপ করা থেকে বিরত থেকেছে।
কানাডার এমপি চন্দ্র আর্য বলেছেন, এই ঘটনা দেখায় যে কানাডায় সহিংস চরমপন্থা কতটা ‘গভীর এবং নির্লজ্জ’ হয়ে উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্রুডোর লিবারেল পার্টির এই সদস্য লিখেছেন, চরমপন্থি উপাদানগুলো কানাডার রাজনৈতিক কাঠামো ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোতে প্রবেশ করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য,হিন্দু-কানাডিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে এবং রাজনীতিবিদদের জবাবদিহি করতে হবে।
ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন দোষীদের জন্য ‘আইনের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে শাস্তি’ দাবি করেছেন।কানাডার বিরোধী নেতা পিয়েরে পোলিয়েভ্রে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও এই বিশৃঙ্খলা শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
টরন্টোর এমপি কেভিন ভুয়ং দাবি করেন, ‘কানাডা এখন উগ্রপন্থিদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।’ এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমাদের নেতারা হিন্দুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের সবারই শান্তিতে উপাসনা করার অধিকার আছে।এই সহিংসতা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে।