বিপিএলে দুর্নীতিবিরোধী রাখতে যে কঠোর উদ্যোগ বিসিবির

বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলের নতুন আসর শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরে। টুর্নামেন্টের একাদশ আসর ঘিরে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এদিকে বিপিএল নিয়ে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ খুঁজে পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তি করা খেলোয়াড় আরও বেশি অর্থ নিয়ে পরবর্তিতে অন্য দলের হয়ে খেলেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা টাকা না দিলে পরের দিন ম্যাচ না খেলার হুমকিও দিয়েছে; এমন সব অভিযোগ টেলিগ্রাফের সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে।

দ্য টেলিগ্রাফ গত ৩০ অক্টোবর প্রকাশ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশজুড়ে বর্তমানে চলতে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন; 'স্পেশাল রিপোর্ট: ক্রিকেট যেভাবে নিজেই খেয়ে ফেলল'। এখানে বড় একটা অংশ জুড়ে ছিল বাংলাদেশের বিপিএল নিয়ে নানা অজানা তথ্য। তবে এবার চমক দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি এবং জানা যায় দুর্নীতিবিরোধী রাখতে প্রোয়জনে কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। 

বাংলাদেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলকে নিয়ে সম্প্রতি টেলিগ্রাফের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ফাহিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ আমাদের চোখে পড়েছে। খেলাকে সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতামূলক করতে গেলে, ফেয়ার করতে গেলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা খুব জরুরি। আমাদের যে দুর্নীতিবিরোধী যে টিমটা আছে তারা কিন্তু এবার সক্রিয় থাকবে। আমরা দুর্নীতিবিরোধী যেসব প্রোগ্রাম করা প্রয়োজন, প্লেয়ার, ম্যানেজমেন্টসহ সবাইকে সচেতন করার ব্যাপারে সেগুলো আমরা করব’ 

‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন এসব ঘটনা না ঘটে। যদি ঘটে, আমরা বোধ হয় এবার রিয়েক্ট করব। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ বিশৃঙ্খল একটা অবস্থা থেকে আমার মনে হয় না খুব বেশি ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। আমার মনে হয় বিপিএল কর্তৃপক্ষ এটাকে খুব শক্তভাবে দেখবে।’

এবার দুর্নীতিবিরোধীর ব্যাপারে কঠোর হবে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সেরকম অভিযোগ আসেনি। যদি আসত তাহলে আগের বোর্ডই হয়ত সেগুলো নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হত। সেরকম কনক্রিট কোনো কিছু তো আসেনি। তবে আমরা যে এটাকে খুব শক্তভাবে দেখব এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।’

বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম আরও যোগ করে বলেন, ‘সে কারণেই আমরা অনেক প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করব যাতে সবাই জানে যে কী করলে কী হবে। প্লেয়াররা যেন সচেতন থাকে। আমি নিশ্চিত যে বেশিরভাগ প্লেয়ার এই ব্যাপারে সচেতন আছে। তারা তাদের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেই ক্রিকেট খেলে। বিচ্ছিন্নভাবে ২-১ জন আছে যারা নেতিবাচক কাজে জড়িত হয়। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করব। কোথাও কোনো কিছু পেলে আমরা অবশ্যই রিয়েক্ট করব।’