মাওলানা সা’দপন্থীদের ৫ দাবি, দিয়েছেন ওপেন চ্যালেঞ্জ
ছবি:সংগৃহীত
বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবির পাশাপাশি জুবায়েরপন্থীদের অসত্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সাতটি শর্তে ওপেন চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব দিয়েছে সা’দপন্থীরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দাওয়াত ও তাবলীগের উলামাকেরাম ও সাধারণ সাথীবৃন্দ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সা’দপন্থী কাকরাইল মসজিদের খতিব আজিম উদ্দিন বলেন, দাওয়াতে তাবলীগ বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ সংগঠন। বিশ্বব্যাপী এই দাওয়াতি সংগঠনের বাৎসরিক সম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমা প্রায় ৫৭ বছর ধরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তথাকথিত ‘জুবায়েরপন্থী’ তাবলীগের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ দেশের কতিপয় উলামায়ে কেরামকে বিভ্রান্ত করে ও মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে।
আজিম উদ্দিন বলেন, গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থীদের আয়োজিত প্রোগ্রাম থেকে অসংখ্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করার লক্ষ্যে সমাধানমূলক ৭টি শর্তের ভিত্তিতে ওপেন চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব দিচ্ছি।
প্রস্তাবগুলো হলো-
দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা আরশাদ মাদানি ও পাকিস্তানের শাইখুল ইসলাম মুফতি তকি উসমানীসহ ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমরা বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সরকারের উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন এবং এটি রেকর্ড ও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। উভয় পক্ষের নির্দিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বিতর্কটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
এ সময় আজিম উদ্দিন ৫ দাবি উপস্থাপন করেন। সেগুলো হলো-
১. বিশ্ব ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিগত ৭ বছরের বৈষম্য দূর করে বিশ্ব ইজতিমার প্রথম পর্ব নিজামুদ্দীন মারকাযের অনুসারী মূলধারার তাবলীগি সাথীদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া।
৩. কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতিমা ময়দানের বৈষম্য দূর করে তাবলিগের মূলধারার সাথীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া।
৪. ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতিমা ময়দানে মূলধারার দুজন সাথীকে হত্যা ও পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকা নিউ মার্কেটে তিনজন সাথীকে হত্যা ও চার শতাধিক সাথীকে মারাত্মক আহত করার দায়ে জুবায়েরপন্থিদের নামে দায়ের করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির করা।
৫. সারা বাংলাদেশের সব মসজিদে ধর্মীয় উসকানি ও ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত সৃষ্টি হয়, এমন বক্তব্য নিষিদ্ধ করা।