আ.লীগের ডাকে কার্যালয়ের সামনে এসে মারধরের শিকার কয়েকজন

আ.লীগের ডাকে কার্যালয়ের সামনে এসে মারধরের শিকার কয়েকজন

ছবি:সংগৃহীত

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন কয়েকজন সমর্থক। সেইসঙ্গে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে এসে কয়েকজন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে তাদেরকে মারধর করেন অবস্থানকারীরা। মারধরের পর তাদের কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেন তারা। পরে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

 

শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায়। পোস্টে বলা হয়, শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

তাদেরকে প্রতিহত করতে একই দিনে ওই স্থানে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই মধ্যে কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে। অপরদিকে রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিলে নেমেছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। সেদিন পুলিশের গুলিতে মারা যান তিনি। এ ঘটনাকে স্মরণ করে নেতাকর্মীদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আজ রোববার বেলা তিনটায় ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজধানীতে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে তাদের হুঁশিয়ার করে লিখেন, তারা আজ কোনও জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর অবস্থানের মুখোমুখি হতে হবে।