কুরস্কে লড়াই করার জন্য ৫০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া
সংগৃহীত
কুরস্ক অঞ্চলে লড়াই করার জন্য রাশিয়া ৫০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “দক্ষিণ-পশ্চিম কুরস্কে লড়াই করার জন্য রাশিয়া এই বিপুল পরিমাণে সেনা পাঠিয়েছে।”
এর আগে গত অগাস্টে কুরস্কে আচমকা আক্রমণ করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বেশ কিছুটা অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। তখন সেখানে ১১ হাজার রুশ সেনা ছিল বলে জানা গেছে। জেলেনস্কি বলেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনী রাশিয়ার ৫০ হাজার সৈন্যকে সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছে।”
জেলেনস্কি যা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, রাশিয়া অন্য জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে কুরস্কে নিয়ে এসেছে।
তবে সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানা গেছে, কুরস্কের জন্য রাশিয়াকে অন্য এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে আনতে হবে না। কারণ, তারা সেখানে উত্তর কোরিয়ার সেনাকে নিয়োগ করেছে।
গত জুলাই মাসে ইউক্রেনের সেনা কম্যান্ডার গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়া পাঁচ লাখ ২০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। বছরের শেষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ছয় লাখ ৯০ হাজার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে তারা।”
এদিকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সমালোচনা করার দায়ে মস্কোর একটি আদালত শিশু চিকিৎসক নাদেঝদা বুয়ানোভার সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার জন্য তাকে এই শাস্তি পেতে হবে।
রাশিয়ার চিকিৎসকদের মধ্যে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রায় ছয় হাজার চিকিৎসক খোলা চিঠিতে সই করে তার মুক্তি চেয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের দায়ে এক হাজার মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, প্রতিবাদ করার জন্য ২০ হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।
বুয়ানোভার বিরুদ্ধে অভিয়োগ করেছিলেন এক নারী। তিনি তার বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য বুয়ানোভার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাচ্চাটির বাবা যুদ্ধে মারা গেছেন। ওই নারীর আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিশু চিকিৎসক ওই ঘটনাকে “ইউক্রেনের লেজিটিমেট টার্গেট” বলে বর্ণনা করেছেন। বুয়ানোভা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের এক হাজার দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আগামী ১৯ নভেম্বর এই অধিবেশন হবে। ইইউ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবের্তা মেতসোলা জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইইউ জানাতে চায়, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে আছে।