রোজ সকালে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে শরীরে যা ঘটবে
ছবি: সংগৃহীত
সুস্বাদু ও উপকারি একটি খাবার কিশমিশ। কিশমিশ ভেজানো পানিকে প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক বলা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এক গ্লাস পানিতে ১০-১২টি কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে অনেক উপকার মেলে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
হজমশক্তি বৃদ্ধি-
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পানিতে ভেজানো কিশমিশের ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি কমায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে এবং লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কমায়।
হার্টের জন্য উপকারি-
পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখ। ফলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। এতে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার ও পলিফেনল কোলেস্টেরল কমায়।
হাড়ের জন্য উপকারি-
কিশমিশে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে কিশমিশে থাকা ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের স্বাস্থ্য এবং শক্তি বজায় রাখে। কিশমিশের পানি এই খনিজগুলো শোষণ করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ-
কম ক্যালোরি অথচ পুষ্টিতে ভরপুর কিশমিশের পানি খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আবার এর প্রাকৃতিক শর্করা উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার ছাড়াই শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।
ত্বক ও মুখের জন্য উপকারী-
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কিশমিশের পানি ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকের ক্ষতিরোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও কিশমিশে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যাল, মুখগহ্বর এবং মাড়ির ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-
কিশমিশের পানিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, বিশেষত ভিটামিন সি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজে সমৃদ্ধ কিশমিশ ভেজানো পানি তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং সামগ্রিক জীবনীশক্তি বাড়তেও সাহায্য করে।